প্রতীকী ছবি।
প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় পলাতক প্রেমিক সইদুল শেখ ওরফে ছোটুকে শনিবার রাতে বাসন্তী হাইওয়ে থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। তার বাড়ি কোচপুকুর এলাকায়। পুলিশের দাবি, ভিন্ রাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ছোটুর। রবিবার তাকে আদালতে তোলা হলে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। এর
আগে ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মুসলিমা গাজিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বর্তমানে সে-ও পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার কোচপুকুর গ্রামে আনসুর আলি গাজি নামে এক ব্যক্তি খুন হন। তাঁকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল স্ত্রী মুসলিমার বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে তাকে ধরে পুলিশ। অভিযুক্তকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ছোটুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মুসলিমার। বিবাহ-বহির্ভূত সেই সম্পর্কের জেরেই স্বামীকে খুন করেছে ওই মহিলা। আরও জানা যায়, ওই রাতে দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে আনসুরকে অচৈতন্য করে দেয় মুসলিমা। ছেলে এবং পুত্রবধূকেও ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। পরে সে ছোটুকে বাড়িতে ঢুকতে সাহায্য করে। পুলিশের দাবি, ঘরে ঢুকে অচৈতন্য আনসুরের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তাঁকে খুন করে ছোটু। ওই সময়ে মুসলিমা স্বামীর দুই পা চেপে ধরে ছিল। আনসুর মারা গিয়েছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পরে ঘটনাস্থল থেকে পালায় ছোটু। এর পরে পরিবারের বাকি সদস্যদের ঘুম থেকে ডেকে মুসলিমা দাবি করে, ঘুমের মধ্যেই মারা গিয়েছে তার স্বামী।
তদন্তকারীরা জানান, ওই ব্যক্তির দেহ প্রথমে কবরস্থ করা হয়েছিল। পরে গ্রামবাসীদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা মুসলিমাকে চেপে ধরেন। তখনই ভেঙে পড়ে পুরো ঘটনা স্বীকার করে সে। পুলিশ সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশে রবিবার দুপুরে মাটি খুঁড়ে কবর থেকে তোলা হয় আনসুরের দেহ। সেটি ময়না-তদন্তের জন্য এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy