অঘটন: সেই গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
শহরে ফের বেপরোয়া গতির বলি হলেন এক যুবক। মা-কে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তাঁর। গুরুতর আহত অবস্থায় ই এম বাইপাস সংলগ্ন এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সিদ্ধার্থ ঘোষ (৩২)। বাড়ি সোনারপুরে।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে ই এম বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে মা উমা ঘোষকে ডাক্তার দেখানোর জন্য নিয়ে যান সিদ্ধার্থবাবু। সেখান থেকে ফেরার পথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁদের গাড়ি। পুলিশ জানিয়েছে গাড়িটি সিদ্ধার্থবাবু নিজেই চালাচ্ছিলেন। পাশে বসেছিলেন উমাদেবী।
পুলিশ জানিয়েছে, বাইপাসের ওই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গাড়িটি যখন বাঘা যতীন সেতু থেকে নেমে পাটুলির দিকে যাচ্ছিল, সেই সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সরকারি বাসের পিছনে ধাক্কা মারে সেটি। গতি এতই বেশি ছিল যে, গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাসটিও। সিদ্ধার্থবাবু ও তাঁর মাকে যখন গাড়ি থেকে বার করা হয়, তখন কারও জ্ঞান ছিল না। উদ্ধারকারীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, সিদ্ধার্থবাবুর মাথায় এবং বুকে গভীর চোট ছিল।
সিদ্ধার্থবাবুর মায়ের শরীরেও একাধিক চোট ছিল। দু’জনকেই স্থানীয় লোকজন গাড়ির ভিতর থেকে বার করেন। পরে তাঁদের ওই এলাকারই একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা সিদ্ধার্থবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মাকে ভর্তি করা হয় আইসিইউ-তে। এ দিন রাতেই তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়।
পুলিশ জানায়, সিদ্ধার্থবাবুর গাড়ির গতিবেগ প্রায় ১০০ কিলোমিটার থাকায় বাসটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, বারংবার ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’-র মতো প্রচার চালিয়েও শহরের রাস্তায় গাড়়ির গতি কমানো যাচ্ছে না। সিদ্ধার্থবাবুর সিট বেল্ট বাঁধা ছিল না বলেই প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy