অপহরণ করার পরে অপহৃতের দাদাকে ফোন করে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল অপহরণকারীরা। বৃহস্পতিবার সেই খবর পেয়ে জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ নদিয়ায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে অপহৃত হিতেশ ঝাকে। তিনি পেশায় দিনমজুর। বাকিরা পালিয়ে গেলেও এক অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম পবিত্র কুণ্ডু ওরফে ল্যাম্পো। তার বাড়ি নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার মাজদিয়ায়। শনিবার সকালে তাকে তার বাড়ির কাছ থেকেই গ্রেফতার করে জোড়াসাঁকো থানার পুলিশের একটি দল। ধৃতকে এ দিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। আদালতে পুলিশ দাবি করে, পবিত্র ওই অপহরণ-চক্রের সঙ্গে যুক্ত। ধৃতকে জেরা করে পলাতক বাকি অভিযুক্তদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হবে। সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক পবিত্রকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এক পুলিশ অফিসার জানান, অভিযুক্তেরা একটি অপহরণ-চক্রের সঙ্গে যুক্ত। যারা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ বাবদ টাকা আদায় করে। তবে, ওই দিনমজুরকে কেন অপহরণ করা হল, তা জানার জন্য পুলিশ তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
হিতেশের বাড়ি বড়বাজার থানা এলাকার কটন স্ট্রিটে। তিনি বড়বাজার এলাকায় মোটবাহকের কাজ করেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, তাঁর দাদা সঞ্জয় ঝা বৃহস্পতিবার রাতে জোড়াসাঁকো থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানান, তাঁর ভাই বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কাজের সূত্রে তারাচাঁদ দত্ত রোডে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বাড়িতে ফেরেননি। উল্টে তাঁর মোবাইল থেকে ফোন করে অপহরণকারীরা দাবি করে, হিতেশকে অপহরণ করা হয়েছে এবং মুক্তিপণ বাবদ তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, একাধিক বার ফোন করে মুক্তিপণ বাবদ ওই টাকা চাওয়া হয় অপহৃতের পরিবারের কাছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পারে, অপহরণকারীরা অপহৃতকে রানাঘাটের দিকে নিয়ে গিয়েছে। সেই মতো পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। সেখানে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, হিতেশ রয়েছে নদিয়ার বীরনগর এলাকায়। শুক্রবার রাতে সেখান থেকে তাঁকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তবে, অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। পরে এক জন ধরা পড়ে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)