E-Paper

তরুণীর মৃত্যুতে নালিশ আত্মহত্যায় প্ররোচনার, ধৃত স্বামী

স্থানীয় এবং মৃতার পরিবারের সূত্রে পুলিশ জেনেছে, বুধবার রাতে কোনও একটি বিষয় নিয়ে পারমিতা ও ইন্দ্রনীলের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ পারমিতা তাঁর শোয়ার ঘরে ঢুকেদরজা বন্ধ করে দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:১৬
ধৃতের নাম ইন্দ্রনীল দাস।

ধৃতের নাম ইন্দ্রনীল দাস। —প্রতীকী চিত্র।

এক তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করল হরিদেবপুর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম ইন্দ্রনীল দাস। এই ঘটনায় মৃতার বাবা তাঁর জামাই এবং মেয়ের শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধেআত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন। ধৃত ইন্দ্রনীলকে এ দিন আলিপুর আদালতে তোলা হয়।

পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত তরুণীর নাম পারমিতা সাহা (৩৩)। তাঁর শ্বশুরবাড়ি হরিদেবপুর থানা এলাকার দাসপাড়ায়। বুধবার রাতে সেখান থেকে ওই তরুণীরঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, পারমিতা এবং ইন্দ্রনীল, দু’জনেই বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। বছর চারেক আগে তাঁদের বিয়ে হয়।পারমিতার মা-বাবা থাকেন পানিহাটিতে।

স্থানীয় এবং মৃতার পরিবারের সূত্রে পুলিশ জেনেছে, বুধবার রাতে কোনও একটি বিষয় নিয়ে পারমিতা ও ইন্দ্রনীলের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ পারমিতা তাঁর শোয়ার ঘরে ঢুকেদরজা বন্ধ করে দেন। পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয়েরা বেশ কয়েক বার দরজায় ধাক্কা দিলেও ভিতর থেকে সাড়াশব্দ আসেনি। পরেপরিজনেরা জানলা দিয়ে পারমিতার ঝুলন্ত দেহ দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে। তদন্তকারীদের দাবি, সেখানেতখন ছিলেন ইন্দ্রনীল এবং তাঁর মা-বাবা।

এক তদন্তকারী জানান, বৃহস্পতিবার পারমিতার বাবা প্রশান্ত সাহা জামাই ইন্দ্রনীল এবং তাঁর মা-বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেন। ওই তরুণীর মৃত্যুর কারণ জানতে এ দিনই তাঁর দেহের ময়না তদন্ত করা হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

arrest Death Case

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy