তাঁরা এবং উড়ান সংস্থার প্রতিনিধিরা জানান, কোনও যাত্রী তাঁর চেক-ইন ব্যাগে পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিলে এ বার থেকে সেই ব্যাগ পড়ে থাকবে কলকাতায়। যাত্রীর থেকে অনুমতিপত্র আনিয়ে, ব্যাগ খুলে পাওয়ার ব্যাঙ্ক বার করে তবেই ফের ব্যাগ বিমানে করে গন্তব্যে পাঠানো হবে। শুধু পাওয়ার ব্যাঙ্ক নয়, ওই তালিকায় রয়েছে মোবাইল চার্জার, লাইটার এবং লাইটারে জ্বালানি ভরার রিফিলও।
বিমানের পেটের ভিতরে যে ব্যাগ পাঠানো হয় সেখানে পাওয়ার ব্যাঙ্ক, মোবাইল চার্জার নিয়ে যাওয়া যাবে না বলে আন্তর্জাতিক নিয়ম রয়েছে। উড়ান সংস্থার এক কর্তার কথায়, ‘‘প্রতিটি টিকিটে এমনকি ওয়েবসাইটেও দেওয়া রয়েছে কোন কোন জিনিস চেক-ইন ব্যাগে নিয়ে যাওয়া যাবে না। তার মধ্যে পাওয়ার ব্যাঙ্ক, মোবাইল চার্জার এবং লাইটার রয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেকেই চেক-ইন ব্যাগে এই সব সামগ্রী রেখে দিচ্ছেন।’’
ইন-লাইন ব্যাগেজ ব্যবস্থা চালুর আগে যাত্রীরা টার্মিনালে ঢুকেই প্রথমে চেক-ইন ব্যাগ এক্স-রে করিয়ে নিচ্ছিলেন। ব্যাগের ভিতরে পাওয়ার ব্যাঙ্ক বা চার্জার থাকলে যাত্রীদেরই সতর্ক করা হচ্ছিল। যাত্রীরা ব্যাগ খুলে পাওয়ার ব্যাঙ্ক ও চার্জার হাত ব্যাগে নিয়ে নিচ্ছিলেন।
কিন্তু, সোমবার থেকে ইন-লাইন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরে যাত্রীরা নিজেরা এক্স-রে মেশিনের সামনে থাকতে পারছেন না। কনভেয়ার বেল্টে ব্যাগ এক্স-রে হয়ে যাচ্ছে। বড় ব্যাগ চেক-ইন কাউন্টারে দিয়ে, বিমান ধরার জন্য যাত্রীরা হাত ব্যাগ নিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন বোর্ডিং গেটের কাছে।
বিমানবন্দরের এক কর্তা জানিয়েছেন, গত দু’দিনে কনভেয়ার বেল্টে ব্যাগের ভিতরে এক্স-রেতে পাওয়ার ব্যাঙ্ক বা চার্জার দেখতে পেলেই সেই ব্যাগ সরিয়ে রাখা হচ্ছে। তার পরে সেই ব্যাগের ট্যাগ নম্বর দেখে যাত্রীর নাম ফোন নম্বর জোগাড় করে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এক কর্তার কথায়, ‘‘অনেক সময়ে দেখা যাচ্ছে যাত্রী উড়ান ছাড়তে দেরি আছে। যাত্রীরা বোর্ডিং গেটের কাছে বসে। তখন তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে ব্যাগ খুলিয়ে সেই চার্জার বা পাওয়ার ব্যাঙ্ক বার করে নেওয়া হচ্ছে। উড়ান ছাড়তে দেরি না হলেও একই কাজ করা হচ্ছে। যাত্রীকে ডেকে এনে ব্যাগ খোলানো হচ্ছে। ফলে নতুন করে নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে বিমানে উঠছেন তাঁরা। তাতে উড়ান ছাড়তেও দেরি হয়ে যাচ্ছে।’’
ব্যাগ খোলার জন্য যাত্রীদের থেকে মুচলেকাও নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীরা লিখে দিচ্ছেন, উড়ান সংস্থার প্রতিনিধি তাঁর ব্যাগ খুললে আপত্তি নেই। তার পরে উড়ান সংস্থার কর্মী ব্যাগ খুলে পাওয়ার ব্যাঙ্ক বার করে যাত্রীদের কাছে এনে দিচ্ছেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে যাত্রী বিমানে উঠে গিয়ে থাকলে সেই উড়ানে তাঁর ব্যাগ পাঠানো যাচ্ছে না।