প্রতীকী ছবি।
রোগী-মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল মৃতের পরিজনদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে, গড়িয়ার মহামায়াতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ঘটনায় দুই চিকিৎসক ও চার জন নার্স গুরুতর জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ। রোগীর পরিবার কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে যকৃতের সমস্যা নিয়ে আসা রোগী, গড়িয়ার বাসিন্দা পান্না নস্করকে (৫২) সেখানে ভর্তি করা হয়। দুপুরের পর থেকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। সন্ধ্যায় ‘রিস্ক বন্ড’ সই করে, বিল মিটিয়ে রোগীকে অ্যাম্বুল্যান্সে ওঠাতেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ফের হাসপাতালে নিয়ে যেতেই চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে রোগীর।
এর পরেই চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলে পরিবার। ক্ষুব্ধ পরিজনেরা হাসপাতালের ওয়ার্ডে দফায় দফায় ঢুকে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। এমনকি, চিকিৎসক, নার্সেরা বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, পুলিশ কম থাকায় বিক্ষোভ সামলাতে দেরি হয়েছে। পঞ্চসায়র থানার পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। ওই থানাতেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।
মৃতের জামাই বলরাম নস্করের অভিযোগ, ‘‘চিকিৎসা শুরু না হওয়ায় ওঁকে অন্যত্র নিয়ে যেতে বিল মিটিয়ে দিই। কিন্তু আরও তিন ঘণ্টা পরে রোগীকে ছাড়া হয়।’’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘‘চিকিৎসায় গাফিলতি ছিল না। পরিজনেরা সব জেনেই বন্ডে সই করে রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। ওঁরাই হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়ে ডাক্তার, নার্সদের মারধর করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy