আলোকিত: বড়দিনের আগেই মানুষের ঢল নামল নিউ মার্কেট চত্বরে। রবিবার সন্ধ্যায়। ছবি: সুমন বল্লভ
কেকের গন্ধ, সান্তার পদধ্বনি এবং পারদ পতন!
রবিবারে এই ত্রিফলাতেই শহরে হাজির হল বড়দিনের আমেজ। তার সঙ্গে জুড়ল ছুটিবারের ভিড়।
এ দিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বার এত নীচে তাপমাত্রা নামেনি। শহরতলির দমদম এবং ব্যারাকপুরেও কড়া ঠান্ডা। দমদমে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ব্যারাকপুরে ১১.৫ ডিগ্রি। কনকনে উত্তুরে হাওয়াও মিলেছে। কাল, মঙ্গলবার বড়দিনে মহানগরে শীতের কামড় ভালই মিলবে বলে আশা আবহবিদদের।
বড়দিন দোরে ঘণ্টা বাজাচ্ছে। তার উপরে ছুটিবার, হাওয়ার শীতের আমেজ ভরপুর। তাই রবিবার সকাল থেকে দেরি করেননি অনেকে। বেরিয়ে পড়েছেন শহর ও শহরতলির দ্রষ্টব্য স্থানগুলিতে। ছুটির সকালেও বেশ ভি়ড় হয়েছে শহরতলি থেকে আসা লোকাল ট্রেনে। কেউ কেউ পিকনিক জমিয়েছেন গড়ের মাঠে। কনকনে শীতের দৌলতেই সেই ভিড় হয়েছে লাল, নীল, হলুদ, সবুজে রঙিন। সোয়েটার, টুপি, মাফলার দেখেই শীতোৎসবের ভি়ড় গিয়েছে চেনা।
এ দিনও ভিড়ের বিচারে শহরে সবাইকে টেক্কা দিয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানা। অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত জানান, রবিবার সেখানে প্রায় সত্তর হাজার দর্শক এসেছিলেন। চিড়িয়াখানা সূত্রের খবর, শিম্পাঞ্জি, হাতি, বাঘ, সিংহের সামনেই ভিড় জমেছে বেশি। পশুপাখিদের যাতে কেউ উত্যক্ত না করে তার জন্যও চলছে নজরদারি। চিড়িয়াখানার ভিড় ঘুরপাক খেয়েছে ভিক্টোরিয়া, তারামণ্ডল, জাদুঘরেও। ইকো পার্ক-সহ সল্টলেক, নিউ টাউনের বিভিন্ন উদ্যানেও ভি়ড় জমেছিল। গঙ্গায় সূর্যাস্ত দেখার টানে ভিড় গিয়েছিল বাবুঘাট, মিলেনিয়াম পার্ক চত্বরেও।
অনেকেই আবার শহর ঘুরে ফেরার পথে নিউ মার্কেটের ‘চেনা’ কেকের দোকানে লাইন দিয়েছেন। তাঁদেরই এক জন সুতনু বসু বলছেন, ‘‘আগের বছর ক্রিসমাস ইভে এসে লাইন দিয়েও পছন্দের কেক পাইনি। এ বার তাই আগে আগে হাজির হয়েছি।’’ কারও কারও আবার পছন্দ বো ব্যারাকের দোকান। রিচ প্লাম, ছানার কেক হরেদরে বিকোচ্ছে সেখানে। সেজে উঠেছে লাল রঙা ব্যারাক-বাড়িগুলিও।
ভিড় বাড়ছে পার্ক স্ট্রিটের বড়দিনের মেলাতেও। দুপুর থেকেই সেখানে নিরাপত্তায় কোমর বেঁধেছে পুলিশ। জওহরলাল নেহরু রোড থেকে ফুটপাতে মানুষের সারি সোজা গিয়েছে অ্যালেন পার্কের দিকে। ফিরতি পথে রেস্তরাঁয় ছুটির নৈশভোজ সেরেছেন অনেকে।
আজ, সোমবার। ক্রিসমাস ইভ। হাওয়া মোরগের ইঙ্গিত, উত্তুরে হাওয়া জোরালো হবে। নামতে পারে পারদও। শীতল দিনে উৎসবের উষ্ণতায় মাততে তৈরি কলকাতা!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy