সকাল থেকে চড়া রোদ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে তাপমাত্রার পারদ। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গত কয়েক দিন কলকাতা-সহ শহরতলিতে বাড়তে শুরু করেছে সিইএসসি-র বিদ্যুতের চাহিদাও। এরই মধ্যে আবার শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের খবর পাওয়া যাচ্ছে। যার জেরে ভুগছেন গ্রাহকেরা।
সিইএসসি অবশ্য দাবি করেছে, গরমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়লেও তাদের দিক থেকে কোনও ঘাটতি নেই। দিনে-রাতে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ চাহিদা তারা নিজেদের ব্যবস্থার মাধ্যমেই মেটাতে সক্ষম হচ্ছে। কড়া নজর রাখা হয়েছে বিদ্যুৎ বণ্টনের দিকেও।
তবে গত কয়েক দিন বিদ্যুৎ-বিভ্রাট নিয়ে শহরের নানা জায়গা থেকে গ্রাহকদের অভিযোগ এসেছে। যেমন, সোমবার দুপুরে উত্তর কলকাতার মানিকতলা-মুরারিপুকুর এলাকায় হঠাৎই বিদ্যুৎ চলে যায়। বেশ কিছু ক্ষণ পরে বিদ্যুৎ আসে বলে গ্রাহকেরা জানিয়েছেন। ওই রাতেই আবার গড়িয়ার শ্রীনগর-ঢালুয়া এলাকায় বহুক্ষণ আলো ছিল না বলে জানিয়েছেন গ্রাহকদের একটি অংশ। অনেকে এ-ও দাবি করেছেন, কিছু এলাকায় দুপুর ও রাতের দিকে লো-ভোল্টেজের সমস্যা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরেও মেটিয়াবুরুজ ও নাদিয়াল এলাকায় অনেকক্ষণ আলো ছিল না। এ ছাড়া গত ১০-১২ দিনে বিক্ষিপ্ত ভাবে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাহত হয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সিইএসসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত ১০ মে তাদের পরিষেবা এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা পৌঁছেছিল সর্বাধিক ২,৩১৫ মেগাওয়াটে। যা এখনও পর্যন্ত সংস্থার ইতিহাসে রেকর্ড। সেই চাহিদা তারা মিটিয়ে দিতে পেরেছে। বিদ্যুতের কোনও ঘাটতি ছিল না। তবে অত্যধিক গরমের জন্য দুপুর বা
রাতের দিকে এসি-র লোড হঠাৎ বেড়ে গেলে কোনও একটি এলাকায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পরিষেবা বিঘ্নিত হয়ে থাকতে পারে।
সংস্থার এক কর্তা দাবি করেছেন, গত বছর এপ্রিল-মে মাসের তুলনায় তাঁরা এ বছর গ্রাহকদের থেকে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট সংক্রান্ত বেশ কম অভিযোগ পেয়েছেন। সংখ্যার বিচারে যা অন্তত ২১ শতাংশ। লাইন মেরামত করতেও গত বছর গরমে যা সময় লেগেছে, এ বছর তার থেকে ১৯ শতাংশ কম সময় লাগছে। যদিও গ্রাহকদের একাংশ অনেক সময়ে তাঁদের না জানিয়ে এসি লাগানোর ফলে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ওভারলোড হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইনে ত্রুটি দেখা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে সিইএসসি-র অন্য একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy