—ফাইল চিত্র।
সোমবার থেকে জাতীয় গ্রন্থাগারের রিডিং রুমে সব ধরনের পাঠকেরাই পড়তে আসতে পারবেন। গ্রন্থাগার খোলার সময়সীমাও আগের নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত করা হচ্ছে। জাতীয় গ্রন্থাগারের অধিকর্তা অজয়প্রতাপ সিংহ এই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “গ্রন্থাগার খুললেও কোভিড-বিধি অনুযায়ীই পাঠকদের চলতে হবে। যাঁরা এখানে পড়তে আসবেন, তাঁদের কাছে প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ়ের সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক। রিডিং রুমে যাঁরা বসবেন, তাঁরা পাশাপাশি বসতে পারবেন না। একটি আসন ছেড়ে বসতে হবে। গ্রন্থাগারে থাকার পুরো সময়টাই মাস্ক পরে থাকতে হবে। পাঠকদের স্যানিটাইজ়ার দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও নিজের সঙ্গে স্যানিটাইজ়ার থাকলে ভাল হয়।” তবে, আঠারো বছর বয়সের নীচে এখনও কোভিড প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়নি বলে গ্রন্থাগারের শিশু বিভাগ বন্ধই থাকছে।
এর আগে কোভিড পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ার পরে গ্রন্থাগার খুলে দেওয়া হলেও শুধু গবেষকদেরই ঢোকার অনুমতি মেলায় অভিযোগ করছিলেন অন্য পাঠকেরা। সাধারণ পাঠকদের পড়ার সুযোগ মিলত খুব কম। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক গোপাল সিংহ জানান, সাধারণ পাঠকেরাও যাতে কোভিড-বিধি মেনে গবেষকদের সঙ্গে পড়ার সুযোগ পান, তার জন্য প্রধানমন্ত্রী-সহ কেন্দ্রীয় তথ্য-সংস্কৃতি মন্ত্রকে ডেমোক্র্যাটিক রিসার্চ স্কলার্স অর্গানাইজেশনের তরফে চিঠি লেখা হয়েছিল। গোপালবাবু বলেন, “শেষ পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে সব শ্রেণির পাঠকদের জন্যই গ্রন্থাগার খোলা হচ্ছে।”
জাতীয় গ্রন্থাগারে নিয়মিত আসা, শৈবাল চক্রবর্তী নামে এক পাঠকের মতে, বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বহু মানুষ এই গ্রন্থাগার ব্যবহার করেন। এত দিন তাঁরা পড়তে আসতে না পারায় খুব অসুবিধায় ছিলেন।
এত দিন জাতীয় গ্রন্থাগারের রিডিং রুমে পড়তে হলে আগে থেকে অনলাইনে বুক করতে হত। যে কোনও সময়ে গ্রন্থাগারে গিয়ে পড়ার সুযোগ ছিল না। গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এখন থেকে অনলাইনে বুক না করলেও রিডিং রুমে পড়ার সুযোগ মিলবে। তবে যদি দেখা যায় যে, রিডিং রুমে কোভিড-বিধি মেনে যত জনকে বসার সুযোগ দেওয়ার কথা, তত জনই উপস্থিত রয়েছেন, তা হলে নতুন কেউ সেখানে ঢোকার সুযোগ পাবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy