প্রতীকী চিত্র।
কলকাতা থেকে মুম্বই যাওয়ার পথে যাত্রিবাহী বিমানের কার্গোয় ফের কুকুরের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে গিরিশ পার্ক থানায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছেন কুকুরটির মালিক। এয়ার ইন্ডিয়া অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বেশ কয়েক বছর আগে একই রকম একটি ঘটনার জল গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত।
কী ঘটেছিল? মধ্য কলকাতার বাসিন্দা জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর চাওচাও প্রজাতির পোষ্য কুকুরটির নাম রেখেছিলেন গুল্টু। তার বয়স হয়েছিল ২২ মাস। সম্প্রতি সে চোখের পাতার সমস্যায় ভুগছিল। যা এই ধরনের কুকুরের ক্ষেত্রে অনেক সময়েই হতে দেখা যায় বলে জানিয়েছেন পশু চিকিৎসক অভিরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনার জেরে কলকাতার কোথাও সেই চিকিৎসা করানোর সুযোগ পাননি জয়ন্তবাবুরা। শেষে গুল্টুকে মুম্বই নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়। তার জন্য ১৪ হাজার টাকা দিয়ে কার্গোর টিকিট কাটতে হয়। গত ১১ জুন গুল্টুকে নিয়ে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের এয়ার ইন্ডিয়ার মুম্বইগামী উড়ান ধরেন জয়ন্তবাবুরা।
নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা আগে বিমান মুম্বইয়ে নামে। জয়ন্তবাবুর অভিযোগ, কার্গোয় গেলে তাঁদের প্রায় দেড় ঘণ্টা ঘোরানো হয়। শেষে আন্তর্জাতিক কার্গো হয়ে অন্তর্দেশীয় কার্গোয় ঘুরিয়ে বলা হয়, “আপনাদের সাদা কুকুরটি মারা গিয়েছে!”
জয়ন্তবাবুর মেয়ের দাবি, পোষ্যকে হাতে পাওয়ার পরে তাঁরা দেখেন, তখনও কোনও মতে তার শ্বাস পড়ছে। পশু চিকিৎসকদের ফোন করলে তাঁরা দ্রুত অক্সিজেন দিতে বলেন। কিন্তু অভিযোগ, বার বার চেয়েও বিমানবন্দর থেকে অক্সিজেন মেলেনি।
এয়ার ইন্ডিয়ার দাবি, কার্গোয় অক্সিজেনের ঘাটতি মৃত্যুর কারণ নয়। কারণ, সে দিন ওই বিমানে গুল্টুর সঙ্গে শুভাশিস বেরা নামে এক ব্যক্তির চার মাস বয়সি একটি কুকুরও গিয়েছিল। সে সুস্থ আছে। কার্গোয় অক্সিজেনের সমস্যা থাকলে যা হওয়ার কথা নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy