পথ-কুকুরদের রীতিমতো পাত পেড়ে খাওয়ানো। সোমবার এমন ঘটনার সাক্ষী থাকলেন বারাসতবাসী। এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে এই আয়োজন করা হয়েছিল। সারাদিন বারাসত শহর ঘুরে ওই সংগঠনের সদস্য অর্পিতা চৌধুরী, নীলাঞ্জনা রায়, তমসী দেব, অয়ন্তিকা চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ দত্তরা খুঁজে বের করলেন পথ-কুকুরদের। ব্যবস্থা করা হল তাদের ভুরিভোজেরও। অসুস্থ, জখম কুকুরদের ওষুধ খাওয়ানো ও চিকিৎসার ব্যবস্থাও ছিল। কিছু অসুস্থ কুকুরকে সদস্যেরা বাড়ি নিয়ে গেলেন চিকিৎসার জন্য।
এ জন্য দেড়শো কেজি চালের ভাত রান্না করা হয়েছিল। সঙ্গে ছিল নানা পদ। ওই সংগঠনের সদস্যেরা পাঁচটি ভ্যানে খাবার নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন। সঙ্গে ছিল ব্যানার। তাতে কুকুরদের ছবির সঙ্গে লেখা ছিল, ‘আজ আমাদের বনভোজন’। কেন এমন আয়োজন? অর্পিতাদেবী জানালেন, ‘‘কুকুররা যদি না বাঁচে, তা হলে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। তা ছাড়া পথ-কুকুরদের প্রতি মানুষের সহানুভূতি ও ভালবাসা বাড়াতে আমাদের এই পদক্ষেপ।’’
এ দিন লিফলেটও বিলি করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে বলা হয়, কুকুর দেখলে কেউ ভয়ে দৌড়বেন না। আগন্তুক দেখে ঘেউ ঘেউ করা কুকুরদের স্বাভাবিক আচরণ। রাস্তার পশুদের উপরে অত্যাচার করলে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা রয়েছে, তা প্রচারে তুলে ধরা হয়।