বিধাননগর পুরনিগমের নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ২০০০-এরও বেশি পুলিশকর্মীকে পথে নামাবে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার এ কথা জানাল বিধাননগর কমিশনারেট।
ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, ভোটে বিধাননগর ও রাজারহাটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না। সেই সিদ্ধান্তের পরে রাজ্যপুলিশ নিজস্ব পরিকল্পনা তৈরি করে। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক ৪৩৮টি বুথে সশস্ত্র ও লাঠিধারী পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়া মোবাইল পেট্রোলিং থেকে শুরু করে শীর্ষ স্তরের কর্তারা পরিস্থিতির উপর নজরদারি রাখবেন।
নিবার্চন কমিশন সূত্রের খবর, পুরনিগমের নির্বাচনে ১৭১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। তার মধ্যে সবক’টি বুথই উত্তেজনাপ্রবণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। তার মধ্যেও উত্তেজনার মাত্রার নিরিখে বুথগুলিকে চিহ্নিত করে পুলিশি নজরদারি জোরদার করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রচার পর্ব শেষ হতেই নজরদারির কাজ শুরু হয়েছে।
সেই প্রসঙ্গেই বিরোধীদের অভিযোগ, বিধাননগর ও রাজারহাটে বহিরাগত ঢুকছে। বিধাননগরের এক শীর্ষ পুলিশ কর্তার দাবি, এখনও সে প্রসঙ্গে কোনও অভিযোগ জমা প়ড়েনি। অভিযোগ এলে সত্যতা খতিয়ে দেখা হবে।
যদিও এ দিনই বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিএম নেতা গৌতম দেব রীতিমত ৭টি বাসের নম্বর দিয়ে বহিরাগত ঢোকার অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, স্বরাষ্ট্র সচিব থেকে শুরু করে থানা স্তর পর্যন্ত কথা হয়েছে। তাঁরা আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে তাঁর হুঁশিয়ারি, যদি পুলিশ পদক্ষেপ না করে, তবে বাইক বাহিনী ঢুকলে বামেরা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। দরকারে ওই সব মোটরবাইক কেষ্টপুর খালে ফেলা হবে। তাতে গোলমাল হলে দায় প্রশাসনের।
যদিও একই সঙ্গে গৌতমবাবু বলেন, ‘‘আমরা হিংসা চাই না। আমরা ক্ষমতাতে নেই। মারামারি করার লোকও নেই। তবে আমাদের কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটারদের আঘাত করলে আমাদের ৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক পথে নামবে।’’
তাঁর আরও দাবি, একটি স্টুডিও-তে বিস্ফোরণ ও মারধরের দৃশ্যের শ্যুটিং করা হয়েছে। তা তুলে দেওয়া হবে মিডিয়ার কাছে। ভোটের দিনে আহত সাজিয়ে কিছু লোককে সল্টলেকে ঢোকানো হবে। আর ছবি দেখিয়ে বলা হবে সিপিএম বোমা ফাটাচ্ছে।
গৌতম দেবের অভিযোগের পাল্টা হিসাবে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য ওঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হচ্ছে। তবে উনি প্ররোচনা দিলেও আমাদের কর্মীরা তাতে পা দেবেন না। কিন্তু, সিপিএম রাস্তায় গুণ্ডা নামালে আমরা মোকাবিলা করব। সিপিএম বারুইপুর, হুগলি, বরাহনগর, বিরাটি থেকে লোক আনছে। পাশাপাশি, গৌতম দেব বিধাননগরের ভোটার কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy