সল্টলেকে ব্যবসায়ীকে হুমকির অভিযোগের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ৯ জনের। তারা সকলেই ওই ঘটনায় ধৃত সল্টলেকের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের সহযোগী বলে দাবি পুলিশের। এই ৯ জনের মধ্যে দু’জনকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিধাননগর আদালতে মহম্মদ নাসিম ও সিন্ধু কুণ্ডু নামে ওই দু’জনের ১১ দিনের জেল হেফাজত হয়।
এ দিন নাসিম ও সিন্ধুর হয়ে জামিনের আবেদন করে সওয়াল করেন আইনজীবী রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, নাসিম ও সিন্ধুর মধ্যে যোগাযোগ নেই। ধৃত কাউন্সিলরকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেয়নি। অথচ নাসিম ও সিন্ধুকে ধরেছে। তাঁর দুই মক্কেলকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাজদীপবাবু।
জামিনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী সাবির আলি জানান, তদন্তে দেখা গিয়েছে মার্চ মাসে বি ডি ব্লকে ব্যবসায়ী সন্তোষকুমার লোধ তাঁর একটি বাড়ির মেরামতির কাজ শুরু করতে যান। অনিন্দ্য ও তার সহযোগীরা সেখানে গিয়ে ইমারতি দ্রব্য ফেলে দেয়, বন্ধ করে দেয় কাজ। ওই ব্যবসায়ীকে প্রাণে মারার হুমকিও দেয়। ঘটনাস্থলেই ছিল নাসিম ও সিন্ধু। শুক্রবার দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারক সুব্রত ঘোষ ধৃতদের জেল হেফাজত দেন।
এ দিন আদালতে হাজির ছিলেন ইমারতি দ্রব্য সরবরাহের ব্যবসায়ী সিন্ধুর অনুগামীরা। তাদের অভিযোগ, চক্রান্ত করে এই ঘটনায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সিন্ধুকে। চার মাস আগেই অবশ্য সল্টলেকের এক ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়ে একটি নির্মাণ কাজ বন্ধ করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল সিন্ধু। এ দিকে সরকারি আইনজীবী সন্দেহভাজনদের যে তালিকা জমা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এক ব্লক কমিটির সম্পাদক, ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক, এমনকী বিধাননগর পুরনিগমের এক কর্মীরও নাম রয়েছে।
এ দিকে, শুক্রবার সকালে তোলাবাজির অভিযোগে নিউ টাউনের নবাবপুরের বাসিন্দা জালালউদ্দিন মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আবার বৃহস্পতিবার রাতে নিউ টাউনেরই বালিগুড়ি থেকে তোলাবাজি ও অস্ত্র আইনে গ্রেফতার হয় মোজাম্মেল মোল্লা নামে অপর এক জন। স্থানীয় সূূত্রে খবর, এরা দু’জনই এলাকার দুই তৃণমূল নেতার অনুগামী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy