অঘটন: দুর্ঘটনার পরে পুলিশকর্তার ব্যবহৃত সেই গাড়ি। সোমবার, সল্টলেকে। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টচার্য
পথচারী থেকে চালক, পথ-নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন করতে রকমারি পদক্ষেপ করছে পুলিশ। কিন্তু এখনও একাংশের সচেতনতা ফিরছে না।
সোমবার ফের তার প্রমাণ মিলল সল্টলেকের একটি দুর্ঘটনায়। অভিযোগ উঠল খোদ রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তার ‘ব্যবহৃত’ গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে। এ দিন দুপুরে সল্টলেকের বনবিতানের কাছে দু’টি সরকারি গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় রাজ্য সরকারের দুই মহিলা আধিকারিক-সহ মোট ৪ জন আহত হয়েছেন। ভেঙে যায় একটি রিকশা।
কিছু দিন আগেই দুর্ঘটনায় মারা যান মডেল-অভিনেত্রী সোনিকা চৌহান। সেই ঘটনায় বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগ উঠেছে অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এ সব দেখে অনেকেরই বক্তব্য, দায়িত্বশীল নাগরিকেরাই যদি সচেতন না হন, তা হলে পুলিশের কর্মসূচিতে মানুষের বিশ্বাস থাকবে না।
পুলিশ জানায়, এ দিন দুপুরে একটি সাদা গাড়ি বেলেঘাটা-বাইপাসের দিক থেকে সল্টলেকের রাস্তা ধরে যাচ্ছিল। তখনই বিধাননগর পুরসভার দিক থেকে আসছিল রাজ্য প্রতিবন্ধী কমিশনের একটি গাড়ি।
পুলিশকর্তার ব্যবহার করা গাড়িটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সেই গাড়ির। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ‘পুলিশের গাড়ি’ একটি রিকশায় ধাক্কা মারলে সেটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। গাড়িটি নেতাজির মূর্তির গার্ডওয়ালে ধাক্কা মেরে দাঁড়িয়ে যায়।
বিধাননগর পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি ব্যবহার করেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (ট্রেনিং) সোমেন মিত্র। এ দিন দুর্ঘটনার সময়ে গাড়িচালকের সঙ্গে ওই পুলিশকর্তার রক্ষীও ছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
আহতদের স্থানীয় নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। রাতে তিন জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সোমেনবাবু অবশ্য এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।
বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। পুলিশ নিজে থেকে ঘটনার তদন্ত করবে কি? সদুত্তর মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy