এসএসকেএম হাসপাতালে এক নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত অমিত মল্লিককে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিলেন আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক। সোমবার অমিতকে পুলিশি হেফাজত থেকে আদালতে পেশ করা হয়। এ দিনও শুনানি চলে রুদ্ধদ্বার-কক্ষে।
শুনানি শেষে সরকারি আইনজীবী মাধবী ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা অভিযুক্তের এক দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করেছিলাম। বিচারক ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে অভিযুক্তকে শনাক্ত করার জন্য টিআই প্যারেডের আবেদন মঞ্জুর করেছেন তিনি।’’
অভিযুক্তের আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য জামিনের আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘‘তদন্তে এখনও তেমন অগ্রগতি নেই। একাধিক ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট আদালতে দিতে পারেননি তদন্তকারী অফিসার। অমিতের ঘটনায় জড়িত থাকার পক্ষে জোরদার প্রমাণ পেশ করতে পারেনি পুলিশ।’’ জামিনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘নির্যাতিতার অভিযোগের সঙ্গে মেডিকো-লিগ্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট মিলে গিয়েছে। নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট এবং গোপন জবানবন্দি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। বিচারক সে সব পর্যবেক্ষণ করেই অভিযুক্তকে জেল হেফাজত দিয়েছেন।’’
অন্য দিকে, এই ঘটনার বিষয়ে খবর নিতে এ দিন এসএসকেএমে আসেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য, চিকিৎসক অর্চনা মজুমদার। দীর্ঘক্ষণ তিনি হাসপাতালের সুপার, অন্যান্য আধিকারিক ও পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে অর্চনা বলেন, ‘‘অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে পুলিশের কাছে। এত সিসি ক্যামেরা, পুলিশ ও বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা কী ভাবে ঘটে?’’ তিনি জানান, বেসরকারি সংস্থার কাউকে কাজে নিযুক্ত করতে হলে অবশ্যই দেখতে হবে, তাঁর পুলিশি যাচাইয়ের শংসাপত্র আছে কিনা। হাসপাতালের প্রতিটি ভবনের প্রবেশদ্বারে নিরাপত্তা কঠোর করতে হবে। বহির্বিভাগে আসা রোগীর পরিজনদেরও সরকারি পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার জন্য বলা হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)