মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে তখনও খানিকটা দেরি। সব ঠিক আছে কি না দেখতে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি ঘুরে দেখছিলেন পুলিশ অফিসারেরা। টহল চলাকালীন খিদিরপুরের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে এসে তাঁরা দেখেন, স্কুলের পোশাক পরা এক ছাত্রী কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসছে। সন্দেহ হওয়ায় অফিসার ছাত্রীটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে তার সিট পড়েনি। ভুল করে সে ওখানে চলে এসেছে।
হাতের ঘড়িতে অফিসার দেখলেন, পরীক্ষা শুরু হতে বাকি মাত্র ১০ মিনিট। সঙ্গে থাকা অন্য অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে তিনি স্থির করেন, যে ভাবেই হোক ওই ছাত্রীকে ঠিক পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে। দ্রুত ব্যবস্থা করা হল পুলিশের মোটরবাইকের। এক পুলিশকর্মী ওই পরীক্ষার্থী ও তার বাবাকে নিয়ে ছুটলেন পরীক্ষা কেন্দ্রে। একের পর এক সিগন্যাল সবুজ রেখে ‘গ্রিন করিডর’-এর মধ্যে দিয়ে ঝড়ের গতিতে পৌঁছল পুলিশের বাইক। স্কুলে পৌঁছতেই পরীক্ষা শুরুর কুড়ি মিনিটের মধ্যে পরীক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবস্থা হয়ে গেল।
পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে এ ভাবেই গ্রিন করিডর তৈরি করে ওই ছাত্রীকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় কলকাতা পুলিশ। যোগ্য সঙ্গত করলেন স্কুল কর্তৃপক্ষও। এর আগে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া জখম ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য বা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য শহরের রাস্তায় গ্রিন করিডর করা হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীকে পৌঁছে দিতে গ্রিন করিডর প্রথম করা হল বলেই দাবি করেছেন পুলিশের একাধিক কর্তা।