কারখানার ভিতরে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে এক যুবককে খুনের ঘটনায় শুক্রবার রাত পর্যন্ত খোঁজ নেই অভিযুক্তের। ঘটনার তদন্তে নেমে লালবাজারের গোয়েন্দাদের অনুমান, টাকা-পয়সাজনিত বিবাদেই ওই খুনের ঘটনা ঘটেছে। তবে একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা পর্যন্ত কারণ পরিষ্কার হবে না।
বৃহস্পতিবার সকালে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা এলাকার কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিটে একটি গ্রিলের কারখানার ভিতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মহম্মদ আফতাব আনসারি নামে এক যুবককে। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের দাবি, আফতাবকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা কারখানার আর এক কর্মী মহম্মদ সাব্বির। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালালেও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে পুলিশকে।
তদন্তকারীরা জেনেছেন, ওই কারখানায় আফতাব ও সাব্বির ছাড়াও থাকত আফতাবের এক নাবালক শ্যালক। সে-ই প্রথম জামাইবাবুর দেহ দেখে। তাকে জেরা করে পুলিশ জেনেছে, টাকাপয়সা নিয়ে সাব্বিরের সঙ্গে গোলমাল চলছিল আফতাবের। ঘটনার আগের দিন আফতাব এবং তাঁর শ্যালককে ১১ হাজার টাকা দিয়েছিলেন কারখানার মালিক। যা তাঁরা অনলাইন ওয়ালেটের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন ঝাড়খণ্ডের বাড়িতে। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, আফতাবের চেয়ে কম টাকা পেত সাব্বির। যা নিয়ে সে খুব সন্তুষ্ট ছিল না। তদন্তকারীদের ধারণা, ওই ১১ হাজার টাকার জন্য খুন করা হয়ে থাকতে পারে আফতাবকে। এ ছাড়া, ঘটনার এক দিন আগে মালিকের পক্ষ নিয়ে সাব্বিরের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন আফতাব। সেই কারণে তাঁকে খুন হতে হল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আফতাব, সাব্বির এবং আফতাবের শ্যালক থাকতেন একই ঘরে। সে ক্ষেত্রে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে এক জনকে খুন করা হলে তৃতীয় ব্যক্তি অর্থাৎ ওই কিশোর কেন কিছু টের পেল না, সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)