এই চিত্র বদলাতে চায় পুলিশ।ফাইল চিত্র।
পলাতক বিচারাধীন বন্দির খোঁজ মেলেনি। তবে বৃহস্পতিবার আলিপুর জেলা দায়রা আদালত চত্বরে বন্দি পালানোর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিল পুলিশ। লালবাজার সূত্রের খবর, এ বার থেকে আদালত চত্বরে বন্দিদের স্থানান্তরিত করার সময়ে একাধিক পুলিশকর্মী থাকবেন। পাশাপাশি, কোর্ট লক-আপ বা আদালত চত্বরে বন্দিদের সঙ্গে যাতে কোনও বহিরাগত দেখা করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে পৃথক ভাবে পুলিশ অফিসার নিয়োগ করা হচ্ছে। তাঁরা বন্দিকে সরানো-সহ সব কিছুই দেখভাল করবেন। আলিপুর জেলা দায়রা আদালতে কোর্ট লক-আপ থেকে এজলাস পর্যন্ত অনেকটা রাস্তা এবং সেটি জনবহুল। তাই এক জন বন্দির সঙ্গে একাধিক পুলিশকর্মী থাকবেন বলে লালবাজারের দাবি। পাশাপাশি, বাইরের খাবার বন্দিদের হাতে দেওয়া যাবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, বিচারকের এজলাস থেকে কোর্ট লক-আপে যাওয়ার পথে পুলিশের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে পালিয়ে যায় শেখ রজ্জাক নামে ওই বন্দি। পুলিশ সূত্রের খবর, আলিপুর আদালত চত্বরে কোর্ট লক-আপ থেকে এজলাস বা এজলাস থেকে লক-আপে স্থানান্তরিত করার সময়ে এক এক জন বন্দির হাত ধরে নিয়ে যান এক জন করে কনস্টেবল। বৃহস্পতিবারও তেমনই হচ্ছিল। এর পরেই বন্দিদের সঙ্গে একাধিক পুলিশকর্মী থাকার নির্দেশিকা জারি হয়েছে লালবাজার থেকে। এক পুলিশকর্তা জানান, অভিযোগ উঠেছে পলাতক বন্দিকে আখের রস ও পান খাইয়েছিলেন পুলিশকর্মী। বেআইনি ওই সুযোগ যাতে বন্দিদের আর না দেওয়া হয়, তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ অফিসার মোতায়ন করা হয়েছে। তবে তদন্তকারীদের অনুমান, ওই বন্দি রীতিমতো পরিকল্পনা করে পালিয়েছে। কোর্ট লক-আপ থেকে এজলাসে যাওয়ার সময়ে রজ্জাকের হাতে লঙ্কার গুঁড়ো দিয়েছিল তার এক সঙ্গী। পুলিশকর্মীর চোখে তা ছিটিয়ে সেই সঙ্গীর সাহায্যেই পালায় সে। তবে কোর্টের বাইরের সিসিটিভি-তে ওই বন্দি বা তার সঙ্গীর কোনও ছবি ধরা পড়েনি বলে সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy