E-Paper

নিউ টাউনে ধৃতকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ

পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকাল আটটা-সাড়ে আটটা পর্যন্ত পুনর্নির্মাণ চলে। অভিযুক্ত যুবককে নিয়ে নিউ টাউনে তার বাড়িতে যায় পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:২৩
জঙ্গলে ঘেরা যে জমি থেকে কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেখানে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানো হয়।

জঙ্গলে ঘেরা যে জমি থেকে কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেখানে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানো হয়। —প্রতীকী চিত্র।

নিউ টাউন-কাণ্ডে অভিযুক্ত ই-রিকশাচালক সৌমিত্র রায় ওরফে রাজকে দিয়ে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করাল পুলিশ। বুধবার ভোরে অভিযুক্তকে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। লোহাপুলের কাছে বাগজোলা খালের পাশে জঙ্গলে ঘেরা যে জমি থেকে কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেখানে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানো হয়। দ্বিতীয় দফায় ঘটনাস্থলে যায় ফরেন্সিক দলও।

পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকাল আটটা-সাড়ে আটটা পর্যন্ত এই পুনর্নির্মাণ চলে। অভিযুক্ত যুবককে নিয়ে নিউ টাউনে তার বাড়িতে যায় পুলিশ। বাড়ি থেকে বেরোনো, জগৎপুর এলাকা থেকে কিশোরীকে রিকশায় চাপানো, সুলংগুড়ি, একটি শপিং মল-সহ বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে লোহাপুলের কাছে ঘটনাস্থলে পৌঁছনো— সবটাই পুনর্নির্মাণ করায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে একটি বালিশ কিশোরীর জায়গায় রেখে তদন্তকারীরা রাজের থেকে জানতে চান, কী ভাবে সে খুন করেছিল। এমনকি, ঘটনাস্থল সম্পর্কেও পুলিশ নিশ্চিত হয়। তদন্তকারীরা জানান, গ্রেফতারের পরে প্রাথমিক ভাবে যা যা রাজ পুলিশকে জানিয়েছিল, সময়-সহ সবটাই এ দিন তার থেকে নতুন করে জানা হয়েছে। ধৃতকে নিয়ে মঙ্গলবার জিয়ো ম্যাপিংও করা হয়েছে।

এ দিন বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের এলাকায় যত ই-রিকশা ও টোটো রয়েছে, সে সবের নম্বর সংগ্রহ করে তথ্যভান্ডার তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, চালকদের নামে কোনও অভিযোগ নথিভুক্ত আছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে।

পরিচারিকার কাজ করে একাই ছেলেকে বড় করেছেন ধৃত সৌমিত্রের মা ঝর্না রায়। খবরটা শোনার পর থেকেই নদিয়ার বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামের বাসিন্দা ঝর্না চাইছেন, ছেলের চরম শাস্তি হোক। এ দিন দুপুরে তিনি বলেন, ‘‘ও যা করেছে, তা ঘৃণ্য অপরাধ। ওর পাশে দাঁড়াতে চাই না। আদালত ওকে চরম শাস্তি দিক।’’ ছেলের অনিয়ন্ত্রিত জীবনে তিতিবিরক্ত ঝর্না বলেন, ‘‘ছেলের গ্রেফতারির পরে এক উকিল মারফত আমার কাছে ফোন এসেছিল। সম্ভবত ছেলেই ফোন করিয়েছিল। আদালতে মামলা লড়তে আমার থেকে দু’হাজার টাকা চান ওই উকিল। স্পষ্ট জানিয়েছি, একটি টাকাও দেব না।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Rape police investigation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy