‘নো হেলমেট, নো পেট্রোল’— স্লোগান ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর হেলমেট ছাড়া পেট্রোল দেওয়া যাবে না, রাজ্যের সমস্ত পাম্পমালিকের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর ওই বার্তা রাতারাতি পৌঁছে দিয়েছিল পুলিশও। সেই কড়াকড়ি অবশ্য এখন অতীত।
কলকাতার কিছু পাম্প এখনও ওই স্লোগান মেনে চললেও শহরতলি, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনার মতো জেলাগুলিতে হেলমেট ছাড়াই অবাধে বিকোচ্ছে পেট্রোল। এ বার তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, পাম্পের সিসিটিভি নিয়ম করে খতিয়ে দেখবে পুলিশ। যদি দেখা যায় হেলমেটহীন কোনও মোটরবাইক আরোহীকে তেল দেওয়া হচ্ছে, তা হলে সংশ্লিষ্ট পাম্পের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নবান্নের এক পুলিশকর্তা বৃহস্পতিবার বলেন, পথ-দুর্ঘটনা কমাতে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ উদ্যোগের অন্যতম অঙ্গ ছিল ওই স্লোগান। পাম্পমালিকদের বলে দেওয়া হয়েছিল, যদি কেউ হেলমেট না পরে পেট্রোল দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করেন বা কর্মীদের নিগ্রহ করেন, সে কথা পুলিশকে জানালে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।
যদিও পাম্পমালিকদের একাংশই বলছেন, হেলমেট নিয়ে কড়াকড়ি মানতে গিয়ে বেশ কিছু কর্মীকে জনতার হাতে নিগৃহীত হতে হয়েছে। মারও খেতে হয়েছে। থানায় সমস্ত জানিয়ে সুরাহা তো হয়ইনি, উল্টে পুলিশই বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
হাওড়ার এক পাম্পমালিক বলেন, ‘‘আমরা ব্যবসা করি। পুলিশ তো বলে খালাস। আমাদের ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। কোন জোরে পেট্রোল দেব না?’’একাধিক পুলিশকর্তার মত, হেলমেট ছাড়া পেট্রোল দেওয়া যাবে না এই নিষেধাজ্ঞা ভাঙলে যদি পাম্পমালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তা হলে সংশ্লিষ্ট মোটরবাইক আরোহীর বিরুদ্ধেও আইন মেনে পদক্ষেপ করা উচিত। কিন্তু কোন আইনে পুলিশ
ব্যবস্থা নেবে, সেই দিশাই তো দেওয়া হয়নি। কার্যত তার ফাঁক গলেই বেরিয়ে যাচ্ছে দু’পক্ষ।