কাদার মধ্যেই কেনাকাটা। ছবি: অরুণ লোধ।
অধিকাংশ দোকানই প্লাস্টিক ছাউনি দিয়ে ঢাকা। চাতাল বাঁধানো না হওয়ায় একটু বৃষ্টিতেই কাদা হয়ে যায়। তখন দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না। দু’বেলা বাজার বসলেও, বাজারে পর্যাপ্ত আলো নেই। ছবিটি করুণাময়ী বাজারের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১৯৮৫-তে করুণাময়ী বাজার কলকাতা পুরসভার অধীনে এলেও কোনও পুরবোর্ডই করুণাময়ী বাজারটির সংস্কারের চেষ্টা করেনি। শুধুই প্রতিশ্রুতি মিলেছে।
বাজারটি কলকাতা পুরসভার ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। কাউন্সিলর রত্না শূরের দাবি, বাজারটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের জন্য আরও জায়গার প্রয়োজন। তাই বাজারটির পাশেও কিছুটা জমি নিতে চাইছে পুরসভা। কিন্তু সেই জমির চরিত্র নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এই বিষয়ে আইনজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। জায়গাটি পাওয়ার পরে বাজারটির সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।
পুরসভার সূত্রের খবর, আগে এই এলাকাটি বেহালা পুরসভার আওতায় ছিল। তখন মহাত্মা গাঁধী রোডের উপরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাজার বসাত। পরে ১৯৮৫ সালে এলাকাটি কলকাতা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয় এবং রাস্তার ধারে বসা বাজারটিকে করুণাময়ী মন্দিরের উল্টো দিকে ১৫ কাঠা জমিতে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এর পর থেকে করুণাময়ী মোড়েই পুরসভার বাজার হিসেবে এটি চলতে থাকে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্থায়ী জায়গা পেলেও বাজারটির বেহাল অবস্থা। অভিযোগ, এর পরে কোনও পুরবোর্ডই তেমন ভাবে বাজারের উন্নয়নের জন্য কোনও পদক্ষেপ করেনি। এমনকী দুশোর বেশি ব্যবসায়ী থাকলেও অধিকাংশেরই স্থায়ী দোকান নেই। অধিকাংশ ব্যবসায়ীই খোলা আকাশের নীচে বসেন এবং রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে প্লাস্টিকের ছাউনি ব্যবহার করেন।
দীর্ঘ দিন ধরে বাজারটির সংস্কার না হওয়ায় এলাকাবাসী বার বার সরব হয়েছেন। সরব হয়েছে বিরোধীরাও। ১৫ বছর ধরে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের। কিন্তু তিনি বাজারটির উন্নয়ন করবেন বলে বার বার প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনও কাজই হয়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এই ব্যাপারে পুর কর্তৃপক্ষ জানান, জমি-জটে ব্যাপারটি আটকে ছিল।
খুব দ্রুত সমস্যাটির সমাধান হবে আশা করছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy