—প্রতীকী চিত্র।
পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও বেহাল অবস্থা শহরের বহু রাস্তার। যার জেরে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা যেমন ঘটছে, তেমনই সমস্যায় পড়ছেন পথচারীরাও। পুজোর মুখে একাধিক জায়গায় মণ্ডপ সংলগ্ন রাস্তা ভেঙেচুরে যাওয়ায় চিন্তা বেড়েছে উদ্যোক্তাদেরও। পুরসভার যদিও দাবি, ইতিমধ্যেই অধিকাংশ রাস্তা মেরামতির কাজ শেষ। বাকি কাজও দ্রুত শেষ হবে।
সপ্তাহ দুয়েক আগে কলকাতা পুলিশের তরফে পুরসভাকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেই চিঠিতে পুলিশ জানিয়েছিল, টানা বৃষ্টির ফলে শহরের তিনশোরও বেশি রাস্তার বেহাল অবস্থা। দ্রুত সেগুলির মেরামতি প্রয়োজন। এর কারণ হিসাবে বলা হয়েছিল, পুজোয় শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থা মসৃণ রাখতে এবং দর্শনার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থেই রাস্তাগুলি তাড়াতাড়ি সারিয়ে ফেলা দরকার। সেই চিঠিতে থানা এবং ডিভিশন ধরে ধরে বেহাল রাস্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরে প্রায় ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও বহু রাস্তায় এখনও নতুন করে পিচের প্রলেপ পড়েনি। ফলে বেহাল রাস্তার কারণে শহরে গাড়ির গতি যেমন কমে যাচ্ছে, তেমনই ভোগান্তির মুখে পড়ছেন আমজনতার একটি বড় অংশ। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে বলেও অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, তারাচাঁদ দত্ত স্ট্রিট, রাজা নবকৃষ্ণ স্ট্রিট, পিকনিক গার্ডেন রোড, কুষ্টিয়া রোড, সি এন রায় রোড, অজয়নগর মেন রোড, পূর্বাঞ্চল রোড-সহ শহরের একাধিক রাস্তার অবস্থা বেহাল। পুলিশের চিঠিতে নাম থাকলেও এই সব রাস্তা এখনও সারানো হয়নি বলে জানা গিয়েছে। ফলে বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। তাতে চাকা পড়লেই লাফিয়ে উঠছে গাড়ি। উল্টে পড়ার উপক্রম হচ্ছে অটোরিকশা এবং স্কুটারের।
শুধু পুরসভা নয়, পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা একাধিক রাস্তারও একই হাল। দিনকয়েক আগের টানা বৃষ্টিতে সেই সব রাস্তা আরও বেশি করে ভেঙেচুরে গিয়েছে। বৃহস্পতিবারই উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে শহরের একাধিক পুজোর। বিদেশি অতিথিরাও মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরছেন। পুজোর মুখে শহরের একাধিক রাস্তার এই বেহাল অবস্থা দেখে খুবই বিরক্ত উদ্যোক্তাদের একাংশ। উত্তরের একটি পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা বললেন, ‘‘রাতে এমনিতেই হাজার হাজার দর্শনার্থী মণ্ডপে আসেন। কিন্তু মণ্ডপে আসার রাস্তায় জায়গায় জায়গায় গর্ত। পুজো দেখতে বেরিয়ে মানুষ ঠাকুর দেখবে, না কি রাস্তার গর্ত খুঁজবে?’’
পুরসভার যদিও দাবি, রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু রাস্তার প্রয়োজনীয় মেরামতি শেষ। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (রাস্তা) অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘‘বৃষ্টির জন্য রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়েছে। পুজো শুরুর আগেই সব কাজ শেষ করে দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy