—ফাইল চিত্র
আগেই করোনা বিধ্বস্তদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রেসিডেন্সি ছাত্র সংসদ। এ বার ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত এলাকার পড়ুয়াদের পাশেও দাঁড়াতে চলেছে তারা।
ওই ছাত্র সংসদ ও ‘প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সার্ভিস লিগ’-এর যৌথ উদ্যোগে এ জন্য ‘প্রজন্মের পাশে প্রেসিডেন্সি’ ভাবনার জন্ম। এই প্রকল্পে বিপর্যস্ত এলাকার ছাত্রছাত্রীদের হাতে ন্যূনতম শিক্ষা-সামগ্রী তুলে দেওয়া হবে। এ জন্য সমাজের সব স্তরের মানুষের কাছে সাধ্য মতো সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ।
এর আগেও অতিমারি বা আমপানে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে নানা ভাবে দাঁড়িয়েছে প্রেসিডেন্সি। ফের অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে যাঁরা আর্থিক সমস্যায় পড়ছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের তহবিল থেকে তাঁদের সাহায্য দিতে উদ্যোগী হয়েছে সংসদ। শিশুরাও এই সাহায্যের আওতায় পড়বে বলে জানিয়েছে এসএফআই নিয়ন্ত্রিত ওই ছাত্র সংসদ। কোভিডের তৃতীয় ঢেউ শিশুদের পক্ষে মারাত্মক হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। তাই সংসদের তহবিলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসবের জন্য বরাদ্দ টাকা, শিশুদের কোভিডের চিকিৎসায় দেওয়া হবে ‘ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ’কে। যার পরিমাণ ছাত্র সংসদের তহবিলের ৪০ শতাংশ।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সব পড়ুয়া কোভিডের কারণে আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন, তাঁদের মেধাবৃত্তির ব্যবস্থা করছে ছাত্র সংসদ। সংসদ তহবিলের ৩০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ হয়েছে সে জন্য। সংসদের তরফে দেবনীল পাল বলেন, “এ বছরে পরিস্থিতি বদল হলেও উৎসব করব না। বরং সেই টাকা শিশুদের করোনা চিকিৎসায় খরচ হবে। এর সঙ্গে মেধাবৃত্তির জন্য খরচ হচ্ছে ছাত্র সংসদের তহবিলের আরও টাকা। এই দুই খাত মিলিয়ে খরচ হবে প্রায় ছ’লক্ষ টাকা।”
প্রেসিডেন্সির যে সব পড়ুয়া আর্থিক সমস্যা সত্ত্বেও সিমেস্টার ফি দিয়েছিলেন, কর্তৃপক্ষের কাছে ছাত্র সংসদ সেই পড়ুয়াদের দেওয়া ফি ফেরতের দাবি জানিয়েছিল। দেবনীল জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ তাতে সম্মতি দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy