দগ্ধ: তখনও পুরোপুরি নেভেনি গুদামের আগুন। জল ছিটিয়ে তা নেভানোর চেষ্টায় দমকলকর্মীরা। রবিবার। ছবি: সুমন বল্লভ
আগুন লাগার পরে ততক্ষণে পেরিয়েছে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময়। গুদাম থেকে বেরোচ্ছিল কুণ্ডলী পাকানো কালো ধোঁয়া। পুরো আগুন নেভাতে দমকলকর্মীরাও কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে কাজ করে যাচ্ছিলেন। ঘন ঘন ঢুকছিল দমকলের ইঞ্জিন। সামনের রামনগরগামী রাস্তা দিয়ে বাইক ও ছোট গাড়িকে যেতে দেওয়া হলেও বড় গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। রবিবার দুপুরে পশ্চিম বন্দর থানার ময়লা ডিপোর কাছে ছবিটা ছিল এ রকমই।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, পর পর গুদামে পোড়া ধ্বংসস্তূপ। গুদামের ভিতরে বিভিন্ন পকেটে তখনও জ্বলছে আগুন। বিকেলেও গুদামের কিছু জায়গা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা গিয়েছিল। যে জায়গার আগুন নিভে গিয়েছে, সেখানে চলছে তপ্ত পরিবেশ ঠান্ডা করার প্রক্রিয়া। তার আগে সকালে গুদামের ভিতর থেকে ধ্বংসাবশেষ সরাতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। পরে গ্যাস কাটার দিয়ে গুদামের বিম ও টিন কেটে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা। সেই সঙ্গে জেসিবি যন্ত্র দিয়ে গুদামের ধ্বংসাবশেষ সরানো শুরু হয়। এ সব দেখতে সেখানে ভিড় জমিয়েছিলেন আশপাশের উৎসুক বাসিন্দারাও।
তদন্তে জানা গিয়েছে, গুদামগুলিতে মূলত তার, প্লাস্টিক, ব্যাটারি, মোটর জাতীয় লক্ষ লক্ষ টাকার জিনিস মজুত করা থাকত। এত দাহ্য বস্তু মজুত থাকলেও অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল কি না, তা নিয়ে অবশ্য বড় প্রশ্ন উঠেছে। এ দিকে কী ভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগুন লাগার কারণ জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষাও হবে বলে আগেই ঘটনাস্থল থেকেই জানিয়েছিলেন দমকলমন্ত্রী। তিনিও প্রশ্ন তুলেছিলেন, গুদামগুলির পর্যাপ্ত অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে।
শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ ময়লা ডিপোর গুদামে লাগা আগুন প্রথমে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গুদামগুলিতে দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় দ্রুত তা ছড়িয়ে যায় ১৩টি গুদামে। খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। পরে আরও ইঞ্জিন যায়।
এ দিন দমকলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘গুদামগুলি দাহ্য বস্তুতে ঠাসা ছিল। যে কারণে আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে দমকলকর্মীদের। আগুন এই মুহূর্তে পুরো নিয়ন্ত্রণে এলেও কুলিং প্রসেস বা ঠান্ডা করার প্রক্রিয়া চলছে। তা শেষ করতে রাত পেরিয়ে যাবে মনে হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy