E-Paper

গুঁড়িতে ভর্তি পেরেক, হাতিবাগানে চলন্ত গাড়ির উপরে ভেঙে পড়ল গাছ, কোনও মতে রক্ষা চালকের

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত এ দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ। হাতিবাগানের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল একটি অ্যাপ-ক্যাব। টাউন স্কুলের কাছে ওই ক্যাবের উপরেই গাছটি ভেঙে পড়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৪ ০৭:০৯
ভূপতিত: হাতিবাগানে ভেঙে পড়েছে ফুটপাতে থাকা এই গাছটি। শনিবার।

ভূপতিত: হাতিবাগানে ভেঙে পড়েছে ফুটপাতে থাকা এই গাছটি। শনিবার। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।

চলন্ত গাড়ির উপরে ভেঙে পড়ল গাছ। শনিবার বিকেলে হাতিবাগানের এই ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন গাড়ির চালক ও যাত্রী। তবে, এর জেরে হাতিবাগানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বেশ কিছু ক্ষণের জন্য। পরে কলকাতা পুলিশ এবং পুরসভার কর্মীরা গাছটি কেটে সরিয়ে নিয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এই ঘটনায় ওই চত্বরের গাছগুলির হাল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এলাকার অনেকেরই আবার অভিযোগ, হাতিবাগানে গাছের কাণ্ড ঘিরে এমন ভাবে পেরেক মেরে দোকান পাতা হয় যে, গাছ আর জল পায় না। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থায় থাকায় গাছ আর ভার ধরে রাখতে পারে না। তার জেরেই এ দিনের ঘটনা ঘটল কিনা, সেই প্রশ্ন উঠছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত এ দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ। হাতিবাগানের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল একটি অ্যাপ-ক্যাব। টাউন স্কুলের কাছে ওই ক্যাবের উপরেই গাছটি ভেঙে পড়ে। গাড়িটির ছাদ দুমড়ে গেলেও কোনও মতে বেরিয়ে আসতে পারেন যাত্রী ও চালক। দু’জনকেই পুলিশ উদ্ধার করে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। যদিও তাঁদের আঘাত গুরুতর নয় বলে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে, এই ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয় হাতিবাগান চত্বরে। হাতিবাগানের রাস্তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। খন্না মোড় থেকে গ্রে স্ট্রিট ধরে আসা গাড়ি শোভাবাজারের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিধান সরণি ধরে হাতিবাগানের দিকে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা গাড়ি হয় শোভাবাজারের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, নয়তো গ্রে স্ট্রিট দিয়ে খন্নার দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের দিক থেকে হাতিবাগানের দিকে গাড়ি যাওয়া বন্ধ করে ভূপেন বসু অ্যাভিনিউয়ের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এই কারণে ওই অংশে কিছুটা যানজটও তৈরি হয়।

শনিবার অর্ধদিবস ছুটি হওয়ায় হাতিবাগানে ভিড় ছিল ভালই। স্ত্রীর সঙ্গে বাজারে আসা এক ব্যক্তির দাবি, ‘‘গাছের গায়ে পেরেক পুঁতে এমন ভাবে এখানে পরপর দোকান চলছে যে, গাছগুলির অবস্থা খুবই খারাপ! তারই একটি ভেঙে পড়েছে এ দিন।’’ সোনালি হাজরা নামে আর এক মহিলা বললেন, ‘‘ওই গাছের কাছেই একটি দোকানে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছিলাম। গাছটি মাথার উপরে ভেঙে পড়লে কী হত, তা-ই ভাবছি।’’

হাতিবাগান বাজার ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের তরফে রঞ্জন রায় বললেন, ‘‘গাছগুলির পরিচর্যার জন্য কী করা যায়, সেটা দেখব। ফুটপাতে বসা হকারদেরও এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Accident tree Hatibagan

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy