বইমেলার ক’দিন নাগরিক ভোগান্তি দূর করতে সক্রিয় হচ্ছেন খোদ উদ্যোক্তারা। মেলার দিনে মিলনমেলা প্রাঙ্গণ থেকে পার্ক সার্কাস হয়ে শহরে ঢোকার রাস্তা সুগম করতে এ বার বিশেষ বাস পরিষেবা চালু করবেন তাঁরা।
এমনিতে বইমেলার সময়ে মিলনমেলার মাঠে কাজের দিনে কম-বেশি লাখ দেড়েক ও সপ্তাহান্তে সাড়ে তিন লক্ষের বেশি ভিড় হয়। এর একটি বড় অংশ পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড় ধরে যাতায়াত করে। শুধু কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত নয়, হাও়ড়ার দিক থেকেও যাঁরা বইমেলায় যান, তাঁদেরও ভরসা ওই রাস্তাই। মিলনমেলার মাঠ থেকে ইএম বাইপাস ধরে দক্ষিণে রুবি হাসপাতাল বা উত্তরে উল্টোডাঙা যাওয়ার পথে তেমন সমস্যা হয় না। কিন্তু পরমা আইল্যান্ড থেকে পার্ক সার্কাস যাওয়ার পথে বাসের অভাবে ভোগান্তি হয় অনেকেরই। এই সমস্যার সমাধান করতেই বিশেষ বাস পথে নামাচ্ছে বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড।
গিল্ডের তরফে সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেন, ‘‘সন্ধ্যার দিকে বিশেষ করে সমস্যা প্রকট হয়। তা মাথায় রেখেই বাসের সময় ঠিক করা হচ্ছে।’’ গিল্ড সূত্রে খবর, আপাতত ঠিক হয়েছে বইমেলার দিনগুলিতে বিকেল চারটে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ঘুরেফিরে খান পাঁচেক বাস পার্ক সার্কাসে যাতায়াত করবে।
আগামী বছর ২৫ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা। মেলা শুরু ২৭ জানুয়ারি থেকে। এ বছর মেলার দেশ ভিত্তিক থিমে থাকছে বলিভিয়া। বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে চে গেভারা বলিভিয়ায় যান ১৯৬৬ সালে। আগামী বছর তারও ৫০ বছর পূর্তি। বলিভিয়ার জাতীয় প্রতীকের আদলে বইমেলার ফোকাল থিমের প্রতীক তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার তার প্রতিকৃতি উন্মোচন করা হয়। তবে শুধু বলিভিয়া নয়, বিভিন্ন দেশের অন্তত পঞ্চাশ জন প্রকাশক থাকার কথা। গিল্ডের অধিকর্তা সুধাংশু দে জানান, থাকছেন রাজ্যের ৬০০ জন প্রকাশক ও পড়শি বাংলাদেশের ২৭ জন প্রকাশকও। আর এ বার প্রথম কলকাতা বইমেলায় থাকবে নাগাল্যান্ড, তামিলনাডু, তেলেঙ্গানা, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র প্রমুখ রাজ্যের প্রকাশকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy