শূন্য-স্থান: আবাসিকদের অপেক্ষায়। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
সল্টলেকে দত্তাবাদের কিছু বাসিন্দার কারণে এক সময় আটকে ছিল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজ। রেলের অভিযোগ ছিল, প্রস্তাবিত পথের উপর বেশ কয়েক জন বাসিন্দা জায়গা ছাড়তে রাজি না হওয়ায় বিলম্ব হচ্ছে মেট্রো রেলের কাজে। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে পুনর্বাসনের শর্তে কিছু দিন আগেই সেই সমস্যা কেটেছে। এখন ঠিক তার উল্টো অভিযোগ দত্তাবাদের সেই বাসিন্দাদের। তাঁদের বক্তব্য, পুনর্বাসনের জন্য ঘর তৈরি হয়ে গেলেও রেল কতৃর্পক্ষ তাঁদের ‘অ্যালটমেন্ট লেটার’ না দেওয়ায় তাঁরা ঘরে ঢুকতে পারছেন না। এর জন্য যে প্রকল্পের কাজে ‘ফের’ দেরি হচ্ছে তা জানাতেও ভোলেননি দত্তাবাদের ওই বাসিন্দারা। অভিযোগের বিষয়ে কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশনের বক্তব্য, কিছুদিনের মধ্যেই ওই চিঠি দেওয়া হবে।
গত মাসে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় কলকাতায় জানান, প্রকল্পের কাজ যে গতিতে এগোচ্ছে তাতে এ বছরের শেষ দিকেই ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো চড়ে সল্টলেক থেকে শিয়ালদহ যাতায়াত করতে পারবেন শহরবাসী।
এখন সেই সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন দত্তাবাদের বাসিন্দারা। কেএমসিআরএল সূত্রের জানা গিয়েছে, প্রকল্পের কারণে দত্তাবাদে যে ৮০টি পরিবারকে ঘর ছাড়তে হয়েছে, তাদের জন্য বাড়ি তৈরি করেছেন রেল-কতৃর্পক্ষ। বাইপাসে দত্তাবাদের কাছেই ‘বিদ্যাধরী অ্যাপার্টমেন্টে’ তাঁদের ঘরও তৈরি। কে কোন ঘর পাবেন, তার জন্য লটারিও হয়েছে গত ১৮ জানুয়ারি। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় মেট্রো রেল-কতৃর্পক্ষ যত শীঘ্র সম্ভব তাদের হাতে অ্যালটমেন্ট লেটার ও চাবি দেবে। চাবি পেলেই ঘরে চলে যাবেন তাঁরা। এ দিন একাধিক বাসিন্দা জানান, লটারির পরে প্রায় দেড় মাস হলো, এখনও চাবি হাতে আসেনি।
কেএমসিআরএল-এর চিফ ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বনাথ দেওয়ানজী বলেন, ‘‘যে বিল্ডিংয়ে পুনর্বাসন দেওয়া হবে তার আরও কিছু কাজ বাকি। তাই দেরি হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy