দেখতে দেখতে এক বছর পেরিয়েছে। তবে যেখান থেকে লড়াই শুরু হয়েছিল, এখনও সেখানেই আটকে বলে মনে করছেন রুচিরা সরকার।
গত বছর নিজের ছেলেকে হারান বাঘা যতীনের বাসিন্দা রুচিরাদেবী। গড়িয়াহাটের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল রাজন্য। ২০১৪ সালের ৮ মে রহস্যজনক ভাবে স্কুলে মৃত্যু হয় ৬ বছরের ওই পড়ুয়ার। সে দিন দীর্ঘক্ষণ ধরে ক্লাসে না ফেরায় খোঁজ পড়ে ছেলেটির। পরে দেখা যায়, কম্পিউটার রুমে যাওয়ার করিডরে অচৈতন্য হয়ে পড়ে রয়েছে সে। তড়িঘড়ি স্কুলের মেডিক্যাল রুমে নিয়ে গেলে নার্সরা ‘পাল্স’ পরীক্ষা করে সঙ্গে সঙ্গে রাজন্যকে নার্সিংহোমে ভর্তির নির্দেশ দেন। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনায় স্কুলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছিল রাজন্যর পরিবার। তাঁদের মূল অভিযোগ ছিল, দীর্ঘক্ষণ সকলের অলক্ষে পড়ে না থাকলে ছেলেকে এ ভাবে হারাতে হত না। পরে স্কুলের বিরুদ্ধে রাজন্যর মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য লোপাটের অভিযোগের পাশাপাশি, পরিবারের সদস্যদের প্রভাবিত করার চেষ্টার অভিযোগও দায়ের করেছিলেন তাঁরা। স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য সে অভিযোগ অস্বীকার করেন।
রাজন্যর মৃত্যুর পরদিন স্কুলের বাইরে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। রাজন্যর পরিজনদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন স্কুলের বাকি অভিভাবকেরাও। এর পরে জীবন পুরনো ছন্দে এগোয়নি রাজন্যর মা-বাবার লড়াই।