Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Jyotipriyo Mullick

রেশনের চাল বিলির অভিযোগ

অভিযোগ, বিভিন্ন জেলায় পুরসভার কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের একাংশ এবং তাঁদের সমর্থকেরা রেশন ডিলারদের উপরে চাপ তৈরি করে চাল-ডাল-সাবানের মতো সামগ্রী সংগ্রহ করছেন।

খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২০ ০৩:০২
Share: Save:

রেশন ডিলারদের থেকে চাল নিয়ে দুঃস্থদের বিলি করছেন পঞ্চায়েত এবং পুরসভার জনপ্রতিনিধিদের একাংশ। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ওই অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখেছে রেশন ডিলারদের সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন’।

অভিযোগ, বিভিন্ন জেলায় পুরসভার কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের একাংশ এবং তাঁদের সমর্থকেরা রেশন ডিলারদের উপরে চাপ তৈরি করে চাল-ডাল-সাবানের মতো সামগ্রী সংগ্রহ করছেন। পরে সে সব তাঁরা বিলি করছেন ‘ঘরবন্দি’ মানুষের মধ্যে। রেশন ডিলারদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু খাদ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বেলেঘাটার এক কাউন্সিলর দিন কয়েক আগে একটি রেশন দোকান থেকে দুই কুইন্টাল চাল নিয়েছিলেন। খাদ্যমন্ত্রীর চাপে ওই চাল ফেরাতে বাধ্য হন তিনি।’’

জ্যোতিপ্রিয়বাবু অবশ্য জানান, তিনি কোনও লিখিত অভিযোগ পাননি। তবে বেলেঘাটার এক কাউন্সিলর যে রেশন ডিলারের থেকে সামগ্রী নিয়েছিলেন তা স্বীকার করেন মন্ত্রী। তিনি জানান, ঘটনাটি গত সপ্তাহের। তাঁর সংযোজন, ‘‘ডিলারদের বলে দিয়েছি কেউ এই সব করলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে। পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’’

লকডাউন ঘোষণার পরে ঘরবন্দি দুঃস্থ মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে পথে নেমেছে বিভিন্ন সংস্থা, পঞ্চায়েত ও পুরসভার শাসক ও বিরোধী— সব পক্ষের জন প্রতিনিধিরাই। তাঁদের কেউ কেউ রেশন ডিলারদের উপরে চাপ তৈরি করে রেশন সামগ্রী নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।

বিশ্বম্ভরবাবুর দাবি, ‘‘রেশন দেওয়ার জন্য ডিলারদের উপরে মানসিক চাপ তৈরির অভিযোগ অনেক জেলা থেকেই এসেছে। সেই কারণে আমরা বিষয়টি খাদ্য দফতরে জানিয়েছিলাম। এই ভাবে রেশন সামগ্রী তোলা হলে সঙ্কট তৈরি হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE