প্রতীকী ছবি।
বেপরোয়া গতিতে চলা একটি অটোকে একটি গাড়ি চেপে দেওয়ায় সেটি রাস্তায় উল্টে গেল। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হলেন অটোচালক। জখম হলেন অটোর এক যাত্রীও। শনিবার সকালে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে ঢাকা কালীবাড়ির সামনে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, অটোচালক ইমরান খান এম আর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর তলপেটে গুরুতর আঘাত লেগেছে। তাঁর বাড়ি স্থানীয় বড়বাগান এলাকায়। জখম যাত্রীর নাম শুভঙ্কর সাঁতরা। তাঁর বাড়ি কুমুদ ঘোষ রোডে। তিনি বাঁ পায়ে ভাল রকম চোট পেয়েছেন। পুলিশ জানায়, ওই যাত্রীর অভিযোগ নিষেধ করা সত্ত্বেও অটোচালক বেপরোয়া গতিতে অটো চালাচ্ছিলেন। কারও কথায় গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না।
পুলিশ সূত্রের খবর, যাদবপুর-মেনকা রুটের অটোটি প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড ধরে সাউথ সিটি মলের দিকে বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। তার পাশ দিয়ে একই দিকে যাচ্ছিল গাড়িটি। বেলা সওয়া ১১টা নাগাদ ঢাকা কালীবাড়ির সামনে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়িটি আচমকাই অটোটিকে চেপে দেয়। তাতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন ইমরান।
দুর্ঘটনার পরে কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, নিমেষে অটোটি রাস্তার বাঁ দিকে উল্টে যায়। যাত্রী শুভঙ্করবাবুও গাড়ির মধ্যেই কাত হয়ে যান ও রাস্তায় ছিটকে পড়েন। পথ চলতি লোকজন অটোটি যেখানে উল্টে যায় সে দিকে ছুটে যান। দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় কয়েকটি গুমটির দোকানের মালিকেরা অটোটি সোজা করে রাস্তার ধারে দাঁড় করিয়ে দেন। তাঁরাই ইমরান ও শুভঙ্করবাবুকে উদ্ধার করেন।
পুলিশ জানায়, কালীবাড়ির ট্র্যাফিক সিগন্যালে ডিউটি করছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তিনি যাদবপুর ট্র্যাফিক গার্ডে দুর্ঘটনার খবর জানান। সেখান থেকে সার্জেন্টরা এবং অন্য ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। চালক ও যাত্রীকে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে দিয়ে এম আর বাঙুরে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy