প্রতীকী ছবি।
শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে পড়ুয়ার কোনও রকম অসুবিধা থাক বা না থাক, তা দিয়ে নতুন শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন আটকানো যায় না। এ জন্য একমাত্র মাপকাঠি মেধাই। এমনটাই বলছেন বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের বিকাশ ওপড়াশোনার সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞেরা।
ডিসলেক্সিয়া আক্রান্ত এক ছাত্রকে দ্বাদশ শ্রেণির রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, বালিগঞ্জ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। রুজু হয়েছে মামলাও। স্কুলের বক্তব্য তলব করেছে আদালত। এই প্রসঙ্গে স্পেশ্যাল এডুকেটর সুজাতা ঘোষ বলেন, ‘‘যে কোনও বাচ্চা ডিসলেক্সিক হতে পারে। কিন্তু সেই কারণে রেজিস্ট্রেশন আটকানো যায় না।’’ তিনি জানান, ছেলেটি যখন একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাশ করেছে, তখন ধরেই নেওয়া যায়, দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার মতো মেধা তার আছে। ফলে রেজিস্ট্রেশন কোনও ভাবেই আটকানো যায় না।
শিশুবিকাশ বিশেষজ্ঞ মণিদীপা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ডিসলেক্সিক শিশুদের জন্য বিশেষ শিক্ষাপদ্ধতি রয়েছে। সে পদ্ধতি সম্পূর্ণ কার্যকর। এর সঙ্গে রেজিস্ট্রেশনের সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে ছেলেটির ঠিক কতটা অসুবিধা অথবা স্কুল কর্তৃপক্ষের ঠিক কী অবস্থান, তা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। তবে এটুকুই বলতে পারি, ডিসলেক্সিয়া রেজিস্ট্রেশন করতে না-দেওয়ার কারণ হতে পারে না।’’
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত এক সরকারি কর্মী জানাচ্ছেন, আইনগত ভাবে কোনও ডিসলেক্সিক পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন তো আটকানো যায়-ই না, উপরন্তু তার যদি কোনও বিশেষ সাহায্য (রাইটার বা রিডার) প্রয়োজন হয়, তার অনুমতি দিতে বাধ্য স্কুল কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy