Advertisement
E-Paper

পুর না পঞ্চায়েত, নেই ভোটাধিকার

প্রায় সাড়ে সাতশো মানুষের বাস এই আবাসনে। অথচ এখনও পর্যন্ত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত বা পুরসভার নির্বাচনে ভোটাধিকার পাননি বাসিন্দারা।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:০৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

লোকসভা নির্বাচনে ভোটাধিকার আছে। বিধানসভাতেও ভোট দেন। কিন্তু পঞ্চায়েত বা পুরসভা নির্বাচনে ভোটাধিকার নেই খড়দহের পাতুলিয়া সরকারি আবাসনের বাসিন্দাদের। কারণ পঞ্চায়েত না পুরসভা, কার আওতায় আসবেন তাঁরা, তা অস্পষ্ট।

পাতুলিয়া বাজার সংলগ্ন সরকারি আবাসনের বয়স অর্ধশতক ছাড়িয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানে ব্যারাকপুর, টিটাগড় এবং খড়দহ স্টেশনের দূরত্ব ১০-১২ মিনিট। আবাসন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই পাতুলিয়া পঞ্চায়েত।

প্রায় সাড়ে সাতশো মানুষের বাস এই আবাসনে। অথচ এখনও পর্যন্ত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত বা পুরসভার নির্বাচনে ভোটাধিকার পাননি বাসিন্দারা। তাঁরা একাধিক বার সরকারের বিভিন্ন স্তরে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। চিঠি চালাচালি থেকে সরকারি পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ— সবই করেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ হয়নি বলেই দাবি তাঁদের। ওই আবাসনের বাসিন্দা মিথুন কাঞ্জিলালের বক্তব্য, ‘‘বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালিয়েছি। কিন্তু কেন পুরসভা বা পঞ্চায়েতে ভোটাধিকার পাইনি, তা অজ্ঞাত।’’

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাম জমানায় স্থির হয়েছিল পাতুলিয়া সরকারি আবাসনের এলাকাটি খড়দহ পুরসভার অর্ন্তভুক্ত হবে। কিন্তু তা হয়নি। আবাসনের বাসিন্দা রজত মুহুরি বলেন,‘‘অবস্থার পরিবর্তনের ইঙ্গিত বাম জমানায় পাওয়া গিয়েছিল। রাজ্যে ক্ষমতা বদল হলেও আমাদের অবস্থা বদলায়নি। পঞ্চায়েত কিংবা পুরসভা—কোথাও একটা ব্যবস্থা হলে ভালই হয়।’’

স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগে ব্যারাকপুর-২ ব্লকের তরফে ওই আবাসন নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। বিষয়টি যে তিমিরে ছিল, সেখানেই আটকে আছে। পাতুলিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান কিশোর বৈশ্যের বক্তব্য, ‘‘আমরা ছোট থেকে দেখে আসছি ওই আবাসনের বাসিন্দারা লোকসভা বা বিধানসভায় ভোট দেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের ভোটাধিকার নেই।’’

গত অগস্ট মাসে ব্যারাকপুর-২ ব্লকে নতুন বিডিও হন অনামিকা বেরা (সাহা)। তাঁর কাছে বিষয়টির সমাধান খুঁজতে গিয়েছিলেন আবাসনের বাসিন্দারা। কিন্তু ‘নিয়মের বেড়াজালে’ এখনই কিছু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন অনামিকা। তাঁর কথায়, ‘‘ওই আবাসনের বাসিন্দাদের থেকে জানার পরে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু জনগণনার আগে কিছু করা যাবে না। ২০২১ সালে জনগণনা হবে। সেই সময় সীমানা পুনর্বিন্যাসের পরে ওই এলাকাটিকে পঞ্চায়েত বা পুরসভার মধ্যে আনা হতে পারে।’’

Election Panchayat Election Municipal Election পঞ্চায়েত নির্বাচন Voter
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy