নিজস্ব চিত্র।
বজবজের ভাগাড়-কাণ্ডে পুলিশ তার টিকিও ছুঁতে পারেনি। ওই ঘটনায় নিখোঁজ থেকেও গত এক বছরে দেগঙ্গায় বহাল তবিয়তে মৃত পশুর কারবার চালিয়েছে ইকবাল আনসারি। শুধু তাই নয়, মরা মাংস কাটা এবং রাস্তা দিয়ে গাড়িতে চাপিয়ে মৃত পশু নিয়ে যাওয়ার লাইসেন্সও জোগাড় করে নিয়েছিল ওই ব্যবসায়ী। ঘটনায় তাজ্জব বনে গিয়েছেন অনেকেই। তাই বজবজ-কাণ্ডের তদন্ত নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কী করেছে ইকবাল? হাইব্রি়ড মাছের খাবারের জন্য মাংস কাটতে প্রাণী সম্পদ, মৎস্য দফতর, পরিবেশ দফতর কিংবা পুলিশ- কারও অনুমতি নেয়নি ইকবাল। উল্টে ওই কাজের জন্য স্থানীয় সোহায় শ্বেতপুর পঞ্চায়েত থেকে সে ‘ট্রেড লাইসেন্স’ও জোগাড় করে। শুক্রবার জানা গেছে, শুধু ট্রেড লাইসেন্সই নয়, রাস্তা দিয়ে পচা মাংস আনা নেওয়ার জন্য ছাড়পত্র, মাত্র দু’হাজার টাকার খাজনাতে ‘ট্রেড লাইসেন্স’, মরা পশু নিয়ে গাড়িতে চলাচলের অনুমতি পত্র- সবই সে পেয়েছিল পঞ্চায়েত ও অন্যান্য সরকারি দফতর থেকেই।
দায় এড়াতে তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের তৎকালীন প্রধান মফিজুল ইসলামের দাবি, ‘‘ইকবালকে আমি চিনিই না।’’ বজবজ-কাণ্ডের পরে আসানসোল, হাওড়া, টিটাগড়-সহ বিভিন্ন জায়গায় বিহারের বাসিন্দা ইকবালের ৫টিরও বেশি বাড়ি ও সম্পত্তির হদিসও পেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু ইকবালকে পায়নি।
সূত্রের খবর, দেগঙ্গার মণ্ডলগাঁতিতে ধৃত কসাই সফিয়ার রহমান পুলিশকে জানিয়েছে শাসনের গোলাবাড়ির বাসিন্দা মন্টু নামে এক ব্যক্তি তাকে ওই কারখানায় মাংস কাটার কাজে নিয়ে যায়। সেই মন্টুই ইকবালকে দেগঙ্গায় নিয়ে গিয়েছিল। মন্টুকেও খুঁজছে পুলিশ।
এ দিকে পুলিশের পাশাপাশি দেগঙ্গার ঘটনার তদন্ত শুরু করল রাজ্য পুলিশের এনফোর্সমেন্ট (ইডি) শাখাও। শুক্রবার দুপুরে দেগঙ্গা থানায় গিয়ে পুলিশ আধিকারিকেদের সঙ্গে কথা বলেন ইডির অফিসারেরা। পরে তাঁরা মণ্ডলগাঁতিতে ‘সিল’ করা ওই মাংস কাটার জায়গা ও পাশ্ববর্তী এলাকা ঘুরে দেখেন। কথা বলেন স্থানীয় মানুষের সঙ্গে।
পাঁচিলে ঘেরা জায়গাটি কেবল নয়, ইডির অফিসারেরা সেখান থেকে বিদ্যাধরী নদীর উপর পাঁচুড়ের সেতুতে দাঁড়িয়ে কোন রাস্তা দিয়ে মরা পশু আনা হত, মাংস কাটার পর প্যাকেটে ভরে কোন রাস্তা দিয়ে তা কলকাতায় যেত সে সবও নথিবদ্ধ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy