E-Paper

অনলাইন টিকিট বিক্রির সংস্থার কর্তা ও শতদ্রুকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা

গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতীতে মেসিকে দেখতে না পেয়ে উত্তেজিত দর্শকেরা স্টেডিয়ামে ভাঙচুর চালান। সামগ্রিক বিশৃঙ্খলার জন্য প্রশাসন শতদ্রুকেই দায়ী করে। তাঁকে গ্রেফতার করে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:০১
শতদ্রু দত্ত।

শতদ্রু দত্ত। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লিয়োনেল মেসি-কাণ্ডে ধৃত উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের মুখোমুখি বসিয়ে ওই অনুষ্ঠানের অনলাইনে টিকিট বিক্রির সংস্থার এক শীর্ষ কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল। কিছু ধোঁয়াশা দূর করতে মঙ্গলবার রাতে এই জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যেই শতদ্রুর তিনটি ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তাঁকে গ্রেফতারের সময়ে একটি ফোন বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। শতদ্রুকে গ্রেফতারের পরে রিষড়ায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশির সময়ে আরও দু’টি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতীতে মেসিকে দেখতে না পেয়ে উত্তেজিত দর্শকেরা স্টেডিয়ামে ভাঙচুর চালান। সামগ্রিক বিশৃঙ্খলার জন্য প্রশাসন শতদ্রুকেই দায়ী করে। তাঁকে গ্রেফতার করে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত করতে রাজ্য সরকারের তরফে বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে হওয়া লেনদেনের অঙ্ক, মেসি-কাণ্ডের আগে ও পরে শতদ্রু কাদের সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন, এ সবই শতদ্রুর ফোন ঘেঁটে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

সূত্রের খবর, যে অনলাইন সংস্থার মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল, সেটির একাধিক প্রতিনিধিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। খবর এমনই যে, শতদ্রু অনলাইনে বিক্রি হওয়া টিকিট দর্শকদের ফেরত দেওয়ার কথা শুরুতে বললেও পরে তা অস্বীকার করেন। অন্য দিকে, পুলিশ ওই সংস্থাকে বলেছিল, টিকিট বিক্রির টাকা রেখে দিতে। এ দিকে, শতদ্রু পুলিশের কাছে অনলাইনে টিকিট বিক্রির টাকা পাননি বলে দাবি করেন। সেই ধোঁয়াশা দূর করতে ওই মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ।

বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রের খবর, অনলাইন টিকিট বিক্রির সংস্থার প্রতিনিধিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কয়েকটি প্রযোজক সংস্থার খোঁজ মিলেছে। তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদের নোটিস পাঠাচ্ছে পুলিশ। কত টাকার স্পনসরশিপ দেওয়া হয়েছিল, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিশ।

যদিও দর্শকদের অনেকেরই প্রশ্ন, আদৌ কি টাকা ফেরত পাওয়া যাবে? বিপুল মূল্যের টিকিট কাটার পরেও মেসিকে দেখতে না পেয়ে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছিলেন অনেকেই। যদিও এ পর্যন্ত ওই সংক্রান্ত ধারায় মামলা করেনি পুলিশ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Lionel Messi Shatadru Dutta

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy