প্রায় তেরো বছর আগে একটি ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি ঘোষণা করলেন আলিপুরের দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক গৌরসুন্দর বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালত সূত্রে খবর, সোমবার ধৃত সুশান্ত সর্দারের সাত বছরের জেল এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক।
সরকারি আইনজীবী লীনা সরকার জানান, ২০০৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে কালীঘাটের ঈশ্বর গুপ্ত স্ট্রিটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন দুপুরে রমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এসেছিল তিন দুষ্কৃতী। এর মধ্যে এক জন বাইরে থেকে পাহারা দিচ্ছিল। আর অন্য যে দুই দুষ্কৃতী রমাদেবীর বাড়িতে ঢুকেছিল, তার মধ্যে এক জন হল ধৃত সুশান্ত সর্দার। সুশান্তের হাতেই বন্দুক ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। দরজা খুলতেই রমাদেবীর মাথায় বন্দুক ঠেকায় সুশান্ত। চপার নিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়ে সুশান্তের সঙ্গী কেষ্ট নস্কর। অভিযোগ ছিল, এর পরেই আলমারি থেকে সমস্ত জিনিসপত্র লুঠ করে দুষ্কৃতীরা। তাদের বাধা দিতে গেলে রমাদেবীর বোনের ছেলে সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর মা মল্লিকাদেবীকে চপার দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। এমনকী, মল্লিকাদেবীর ডান গালে চপার দিয়ে আঘাত করা হয়। এর পরেই রমাদেবীকে মারধর করে পালিয়ে যায় ওই দলটি।
কালীঘাট থানার তৎকালীন সাব ইন্সপেক্টর স্বপন মন্ডলকে ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার নিয়োগ করে তদন্ত শুরু হয়। অবশেষে কালীঘাট থেকেই গ্রেফতার করা হয় সুশান্তকে। কিন্তু কেষ্ট নস্কর এখনও পলাতক। এ ছাড়াও, ডাকাতির দিন যে বাড়ির বাইরে পাহারা দিচ্ছিল তার হদিস এখনও মেলেনি। তবে সুশান্তকে পুলিশ গ্রেফতার করার পরেও জামিনে মুক্ত হয় সে। কিন্তু তার পরেও তদন্ত চালিয়ে সাক্ষ্য প্রমাণ জোগাড় করে আদালতে পেশ করে পুলিশ। চলতি মাসের ৩০ তারিখ বিচারক দোষী সাব্যস্ত
করে সুশান্তকে।