উদ্ধার হওয়া সোনার পাত ও বিস্কুট। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে সাত কোটি টাকার চোরাই সোনা ধরলেন শুল্ক দফতরের গোয়েন্দা বিভাগ ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)-এর অফিসারেরা। বাসে করে শিলিগুড়ি থেকে যে সোনা আসছে, সেই খবর আগে থেকেই ছিল তাঁদের কাছে।
ডিআরআই জানিয়েছে, পুলিশ ও তাঁদের চোখে ধুলো দিতে এক নাবালককে ব্যবহার করা হয়েছিল পাচারের জন্য। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। রবিবার শিলিগুড়ি থেকে বাস ধর্মতলায় পৌঁছনোর পরেই এক কিশোরকে নিয়ে নেমে আসেন এক ব্যক্তি। দু’জনেই মিজোরামের বাসিন্দা। যে দু’টি ট্রলি ব্যাগ তাঁদের কাছে ছিল, তার হ্যান্ডেলে লুকনো ছিল ৩৬টি সোনার বিস্কুট। সব মিলিয়ে ওজন প্রায় ৬ কিলোগ্রাম। ডিআরআই জানিয়েছে, ভারত-মায়ানমার সীমান্তে মিজোরামের চম্পাই জেলা থেকে ওই সোনা ঢুকেছে ভারতে। সেখান থেকে কলকাতা পর্যন্ত তা পাচারের জন্য নাবালককে নিয়ে আসা হয়। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে নাবালককে মিজোরাম সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ওই বাসেরই আরও দুই মিজো যাত্রী, এক যুবক ও এক যুবতীর থেকে পাওয়া গিয়েছে ১২টি সোনার বিস্কুট এবং ২০টি সোনার পাত। দু’টি পুরনো ল্যাপটপের ভিতরে সন্তর্পণে লুকিয়ে আনা হয়েছিল ওই সোনা।তাঁদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনার পরিমাণ প্রায় ৫ কিলোগ্রাম ৩২০ গ্রাম। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই দুই যাত্রীকে।
অন্য দিকে, রবিবারেই শিলিগুড়ি থেকে আসা অন্য একটি বাসে এক মিজো যুবকের ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭২টি সোনার বিস্কুট। যার ওজন প্রায় ১২ কিলোগ্রাম বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনার বাজারদর প্রায় ৭ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে ডিআরআই। ধরা পড়েছেন মিজোরামের বাসিন্দা ওই যুবক। উদ্ধার হওয়া সোনা পুরোটাই মিজোরামের চম্পাই জেলা দিয়ে ভারতে ঢুকেছে বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দারা।
কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy