Advertisement
E-Paper

দুর্বারের পুজো: পুলিশ সুর বদলাল এক দিনেই

মাত্র ২৪ ঘণ্টার ফারাক। তাতেই বদলে গেল পুলিশ-প্রশাসনের যুক্তি। সোনাগাছিতে যৌনকর্মীদের দুর্গাপুজোর মণ্ডপের আয়তন বাড়ানো নিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে একের পর এক যুক্তি সাজিয়েছিলেন সরকার পক্ষের কৌঁসুলিরা। শুক্রবার তাঁরাই আদালতে জানান, ওই মণ্ডপের আয়তন বাড়ানো নিয়ে আপত্তি নেই। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিকেলের পরিদর্শনের ভিত্তিতেই এ কথা জানিয়েছেন তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:৩২

মাত্র ২৪ ঘণ্টার ফারাক। তাতেই বদলে গেল পুলিশ-প্রশাসনের যুক্তি। সোনাগাছিতে যৌনকর্মীদের দুর্গাপুজোর মণ্ডপের আয়তন বাড়ানো নিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে একের পর এক যুক্তি সাজিয়েছিলেন সরকার পক্ষের কৌঁসুলিরা। শুক্রবার তাঁরাই আদালতে জানান, ওই মণ্ডপের আয়তন বাড়ানো নিয়ে আপত্তি নেই। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিকেলের পরিদর্শনের ভিত্তিতেই এ কথা জানিয়েছেন তাঁরা।

এ দিন হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত জানান, সোনাগাছির ‘শুভম’ কমিউনিটি হলের সামনের চাতালে মণ্ডপ করা যাবে। বাড়িটিও ব্যবহার করা যাবে। এ দিন আদালতের নির্দেশ শুনে দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি-র আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ী বলেন, ‘‘প্রথম থেকেই ওই অনুষ্ঠান বাড়ির চাতালে পুজো করতে চেয়েছিলাম। আমরা খুশি।’’

২০১৩ থেকে সোনাগাছিতে পুজো করছে যৌনকর্মীদের সংগঠন দুর্বার। এ বার মণ্ডপের আয়তন বাড়াতে চেয়ে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে আর্জি জানায় তারা। কিন্তু আইনশৃঙ্খলার যুক্তি দেখিয়ে পুলিশ-প্রশাসন তা মঞ্জুর করেনি। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে যায় দুর্বার। বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি দত্ত প্রশ্ন তোলেন, পুজোর নিয়ম সব পুজোকমিটি মেনে চলে কি না। তার সদুত্তর দিতে পারেননি পুলিশ ও পুরসভার আইনজীবীরা।

২০১৩ সালে প্রথম বার পুজোর অনুমতি পেতেও আদালতে আসতে হয়েছিল দুর্বার সমন্বয় সমিতিকে। সে বারও এই আপত্তি ওঠে। ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি দত্ত নির্দেশ দেন, পুলিশ-পুরসভার আধিকারিকেরা ফের জায়গা পরিদর্শন করে আদালতকে জানাবেন। নির্দেশ মতো বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্বারের প্রস্তাবিত পুজোর জায়গা ঘুরে দেখা হয়।

এ দিন শুনানিতে পুর-আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই পুজো নিয়ে পুরসভার আপত্তি নেই। ওই অনুষ্ঠান বাড়ির সামনের চাতালে মণ্ডপ করা হলে পুলিশেরও কোনও আপত্তি নেই বলে জানান সরকারি কৌঁসুলি শুভব্রত দত্ত। তার পরেই বিচারপতি দত্ত পুজোর অনুমতি দেন। এ দিন অবশ্য অশোকবাবু আদালতের কাছে আর্জি জানান, ওই পুজোর সঙ্গে প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ জড়িত। কম জায়গায় তাঁরা যেন একবারে সবাই হাজির না হন। তা হলে সমস্যা হতে পারে। কমিউনিটি হলও যেন যত্ন নিয়ে ব্যবহার করা হয়। এই বিষয়গুলি উদ্যোক্তাদের মাথায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

Calcutta High Court Sonagachi Durga Puja kolkata police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy