জোড়াসাঁকো থানার ওসিকে চড় মারার অভিযোগে নোটিস দেওয়া হয়েছিল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের কলকাতা জেলার সভানেত্রী বর্ণনা মুখোপাধ্যায়কে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে জোড়াসাঁকো থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বর্ণনা বৃহস্পতিবার থানায় যাননি। হাজিরা এড়িয়েছেন। এর পর কী করবেন, সে বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেবেন এসএফআই নেত্রী।
বর্ণনা উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির বাসিন্দা। কলকাতার কলেজে পড়তে আসার সুবাদে এসএফআইয়ের সংস্পর্শে আসেন। সিপিএমের সর্বক্ষণের কর্মী এই নেত্রী বুধবার কলেজ স্ট্রিটে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে ওই দিন দেশ জুড়ে ধর্মঘট পালিত হচ্ছিল। বামেরাও এই ধর্মঘটকে সমর্থন করে পথে নামে। বর্ণনারা ছিলেন কলেজ স্ট্রিটে। অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে বচসা চলাকালীন জোড়াসাঁকোর ওসি মৃণালকান্তি মুখোপাধ্যায়ের গালে থাপ্পড় মারেন বর্ণনা। ঘটনার ভিডিয়োও প্রকাশ করে তৃণমূল। শাসকদলের ছাত্র পরিষদের অভিযোগের পর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। বর্ণনার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১২১, ২৮৫, ১৩২, ৩ (৫) ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। কর্তব্যরত পুলিশ বা জনপ্রতিনিধিকে কাজে বাধা দেওয়া, ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করার মামলাও রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
এফআইআরের পর বর্ণনাকে থানায় তলব করা হয়েছিল। তিনি হাজিরা দেননি। এ প্রসঙ্গে এসএফআইয়ের কলকাতা জেলা সম্পাদক দীধিতি রায় বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার বর্ণনা থানায় যাননি। পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে আমরা ঠিক করব।’’
বর্ণনার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছে এসএফআই। তাদের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধে মহিলা কর্মীদের হেনস্থার অভিযোগ তোলেন। বুধবার তিনি দাবি করেন, পুলিশকর্মীরা মহিলাদের হেনস্থা করছিলেন। তাঁদের আটকাতে গিয়ে মেয়েরা হাত-পা ছোড়েন। সেই সময়ে ওসির গালে হাত লেগে গিয়ে থাকতে পারে। পুলিশের গাফিলতি ধামাচাপা দিতে পাল্টা অভিযোগ আনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।