Advertisement
E-Paper

রাস্তা বেদখল দোকান-গ্যারাজে

রাস্তা দখলের এই ছবিটা দেশপ্রাণ শাসমল রো়ড থেকে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রো়ডের। অথচ আইন অনুযায়ী, ফুটপাথের এক তৃতীয়াংশ থাকবে পথচারীদের দখলে আর দুই তৃতীয়াংশ অংশে হকারেরা বসে ব্যবসা করতে পারবেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৭ ০১:৩০
দুর্দশা: রাস্তার অর্ধেক দখল এ ভাবেই। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।

দুর্দশা: রাস্তার অর্ধেক দখল এ ভাবেই। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।

বড় রাস্তার মোড়েও ফুটপাথ জুড়ে রয়েছে ফলের দোকান। এ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান। ফলে শহরের অন্য রাস্তাগুলির মতো এই রাস্তার ফুটপাথ কোথাও চলে গিয়েছে দোকানদারদের দখলে, কোথাও আবার ফুটপাথ উপচে উঠেছে আর্বজনায়। ফলে পথচারীদের হাঁটাচলার কার্যত কোনও জায়গা নেই। তাই পথ হাঁটতে গাড়ির পাশ কাটিয়ে বিপজ্জনক ভাবে চলেন পথচারী। এ ভাবেই মোড় থেকে রাস্তার অর্ধেক দখল হয়ে গিয়েছে।

রাস্তা দখলের এই ছবিটা দেশপ্রাণ শাসমল রো়ড থেকে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রো়ডের। অথচ আইন অনুযায়ী, ফুটপাথের এক তৃতীয়াংশ থাকবে পথচারীদের দখলে আর দুই তৃতীয়াংশ অংশে হকারেরা বসে ব্যবসা করতে পারবেন। অথচ প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের ফুটপাথ খুব বেশি তিন থেকে চার ফুট চওড়া। আর সেই ফুটপাথ কোনও হকারের দখলে নয়, বরং কেআইটি বাজারের দোকানদারদের জিনিসপত্রে ভর্তি।

সিনেমার দৃশ্যের মতোই বদলে যায় রাস্তার অর্ধেক দখল হয়ে যাওয়ার ছবিটা। কেমন সেই ছবি? ভোর থেকে কেআইটি বাজার সংলগ্ন এই রাস্তায় আনাজ নিয়ে বসেন দোকানদারেরা। ফলে সকালের একটা সময় পর্যন্ত সেই রাস্তার উপরে বসে বাজার। পরে সেই রাস্তাতেই তৈরি হয় গ্যারাজ। সেখানে গাড়ি, মোটরবাইক, রিকশা, সাইকেল মেরামতি করা হয়। এর উল্টো দিকের ফুটপাথের উপরে স্তূপাকৃত করে রাখা রয়েছে প্লাস্টিক আর কাগজের বড় বড় বস্তা। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্লাস্টিকের বোতল কিনে অথবা কুড়িয়ে এনে বাছাই করে রাখা হয় সেখানে।

পুরসভা সূত্রের খবর, এই রাস্তার এক দিক ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডে এবং অন্য দিক ৮৯ নম্বর ওয়ার্ডে পড়ছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, কেআইটি বাজারের ভবনের ফুটপাথটি ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন হলেও রাস্তাটি ওই ওয়ার্ডে পড়ে না। সেটি ৮৯ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে। কাউন্সিলর মমতা মজুমদার সমস্যার কথা স্বীকার করেন। যদিও দায় এড়াতে তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাস্তাটি আমার ওয়ার্ডে পড়ছে সে কথা ঠিক। কিন্তু গ্যারাজের লোকজন ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডের। বারবার পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। আবারও বলব।’’

Illegal Occupancy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy