দৃষ্টিহীনের লাঠিতে নয়া প্রযুক্তির ছোঁয়া!
প্রযুক্তিকে দৃষ্টিহীনদের প্রধান ভরসা হিসেবে কাজে লাগাতে উদ্যোগী হয়েছেন লিলুয়ার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক দল পড়ুয়া। তৈরি করেছেন বিশেষ ধরনের লাঠি ও টুপি। তাঁদের দাবি, এই প্রযুক্তির ব্যবহারে অন্য কারও সাহায্য ছাড়াই পথ চলতে পারবেন দৃষ্টিহীনরা। ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলক ভাবে ‘ক্যালকাটা ব্লাইন্ড স্কুলে’ এই টুপি ও লাঠির প্রদর্শনী করা হয়েছে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা তা পরখ করে নেন। তার ভিত্তিতে শিক্ষকদের তরফ থেকে কয়েকটি প্রস্তাবও দেওয়া হয়। স্কুলের শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, কিছু ত্রুটি সংশোধন করে এই টুপি ও লাঠি ব্যবহার করা গেলে সত্যিই তা সুবিধাজনক হবে।
সাড়ে তিন ফুট উচ্চতার একটি লাঠিতে বসানো হয়েছে সেন্সর। দেড় মিটার দূরত্বের মধ্যে কোনও বাধা এলেই কাঁপতে শুরু করবে লাঠিটি। যার ফলে দৃষ্টিহীন ব্যক্তি সহজেই বুঝতে পারবেন, তাঁর সামনে কেউ এসেছেন কি না। লাঠির নীচের অংশ থেকে রাস্তা বা সিঁড়ির দূরত্ব ১০ সেন্টিমিটারের বেশি হলেই তা টের পেয়ে যাবে সেন্সর। ফলে নামার সময়ে একটির বদলে যদি কেউ একবারে দু’টি সিড়ি টপকে যান, সঙ্গেসঙ্গে সশব্দে বেজে উঠবে সাইরেন। একই সঙ্গে বোঝা যাবে রাস্তায় গর্ত রয়েছে কি না। পাশাপাশি, বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে দিক নির্দেশও করে দিতে পারবে ওই যষ্টি। ওই কলেজের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া দেবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় ও তাঁর বন্ধুদের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে লাঠিটি।
এরই পাশাপাশি অঙ্কিতা ভুঁইয়া ও তাঁর সহপাঠীরা তৈরি করেছেন একটি বিশেষ টুপি। তা মাথায় পরে কানে হেডফোন লাগিয়ে পথ চলতে পারবেন দৃষ্টিহীনরা। একই ভাবে পথ চলার সময়ে রাস্তায় কোনও বাধা পেলেই সেন্সর দিক নির্দেশ করে দেবে। যদি বাঁ দিকের রাস্তা ফাঁকা থাকে, তা হলে বাঁ দিকে ঘুরে যেতে বলবে টুপিতে লাগানো সফট্ওয়্যার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy