Advertisement
E-Paper

পেস্তার খোলায় লুকোনো সোনা

এত চেষ্টা সত্ত্বেও অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। এক্স-রে করে প্রথমে পেনের ভিতরে সোনার কথা জানা যায়।

সুনন্দ ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:৩৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সোনা পাচারের একেবারে অভিনব নতুন পন্থা! মার্কার পেনের রিফিল, মহিলাদের ফেসিয়াল স্ক্রাবার, তালা এবং পেস্তার মধ্যে সোনা নিয়ে এসে কলকাতায় ধরা পড়েছেন এক যুবক। শুল্ক কর্তাদের দাবি, তাঁদের চোখে ধুলো দেওয়ার এ একেবারে নতুন পদ্ধতি।

এত চেষ্টা সত্ত্বেও অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। এক্স-রে করে প্রথমে পেনের ভিতরে সোনার কথা জানা যায়। তা থেকে সন্দেহ বাড়ে কলকাতা বিমানবন্দরের শুল্ক অফিসারদের। তল্লাশিতে একে একে বেরিয়ে পড়ে অন্য জায়গায় লুকোনো সোনা। শুল্ক দফতরের খবর, এ ভাবে প্রায় এক কিলোগ্রাম সোনা দুবাই থেকে পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন নদিয়ার ওই যুবক। তিনি মাঝেমধ্যেই ব্যবসার কাজে বিদেশ যান। জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছেন, দুবাইয়ের এক ব্যক্তি কিছু টাকার বিনিময়ে একটি ব্যাগ তাঁকে দিয়েছিলেন। বলেন, কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁর এক আত্মীয় এসে যুবকের থেকে ব্যাগটি নিয়ে যাবেন। সেই ব্যাগের ভিতর থেকেই মিলেছে এই সব চোরাই সোনা।

শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, খোলার ভিতর থেকে পেস্তা বার করে সেখানে সেই পেস্তার আকারের সোনা বানিয়ে তা রেখে আঠা দিয়ে খোলা আটকে দেওয়া হয়েছিল। কাজু, কিসমিসের সঙ্গে সেই পেস্তার প্যাকেট পাঠানো হয়েছিল ওই ব্যাগে। এক শুল্ক কর্তার কথায়, ‘‘সোনা পাচারের জন্য এরা এখন অনেক খাটাখাটনিও করছে।’’ উদাহরণ দিয়ে ওই কর্তা জানান, নতুন ছোট আকারের তালায় যেখানে চাবি ঢোকানো হয়, সেই অংশটি খুলে ওই মাপের সোনা ঢোকানো ছিল। আবার তালার উপরের অংশ যেখান দিয়ে ভিতরে ঢুকে লক হয়ে যায়, সেই অংশও বদলে ফেলা হয়েছিল সোনা দিয়ে।

অন্য দিকে, মহিলাদের মুখ পরিষ্কার করার যে স্ক্রাবার রয়েছে, তার ভিতর দিকে লুকোনো ছিল সোনার দানা। আর মার্কার পেনের ভিতরে রিফিলের মাপের সোনার রড বানিয়ে তা-ও রাখা ছিল ব্যাগে। শুল্ক কর্তাদের আশঙ্কা, আর কোন পদ্ধতিতে সোনা পাচার হচ্ছে, ধরা না পড়া পর্যন্ত তা বোঝা সম্ভব নয়।

Pistachio Smuggling Customs Gold
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy