E-Paper

নিমতায় বৃদ্ধাকে খুনে দেহরাদূন থেকে ধৃত বড় ছেলে ও পুত্রবধূ 

বৃদ্ধার ছোট ছেলে নিজের দাদা এবং বৌদির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। শুক্রবার দেহরাদূন থেকে ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে নিমতা থানার পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৫ ০৮:৫৫
ধৃতদের নাম সুজিত ভট্টাচার্য এবং চন্দ্রাণী ভট্টাচার্য।

ধৃতদের নাম সুজিত ভট্টাচার্য এবং চন্দ্রাণী ভট্টাচার্য। —প্রতীকী চিত্র।

নিমতা থানার অধীন পদ্মপুকুর এলাকায় কবি সত্যেন সেন পল্লি, দ্বিতীয় লেনে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি এক বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেই ঘটনায় বৃদ্ধার ছোট ছেলে নিজের দাদা এবং বৌদির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। শুক্রবার দেহরাদূন থেকে ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে নিমতা থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম সুজিত ভট্টাচার্য এবং চন্দ্রাণী ভট্টাচার্য।

পুলিশ সূত্রের খবর, রীতা ভট্টাচার্য (৭০) নামে ওই বৃদ্ধার দেহ উদ্ধারের দিন থেকে তাঁর বড় ছেলে ও ছেলের স্ত্রীর খোঁজ মিলছিল না। ঘটনার পরেই তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন বৃদ্ধার ছোট ছেলে সুবীর ভট্টাচার্য। অভিযোগ, বৃদ্ধার সঙ্গে সম্পত্তিগত বিবাদ চলছিল বড় ছেলের। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। ছোট ছেলের অভিযোগ, আগেও মাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়েছিলেন তাঁর দাদা। তবে, শুধু খুনই নয়, মৃতার ফোন, ২৫ হাজার টাকা, সোনার গয়না, একাধিক নথি এবং ওই বাড়ির দলিল চুরি গিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সুবীর।

অভিযোগ পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাতে শুরু করে পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্তদের খোঁজ মেলেনি। সম্প্রতি বিশেষ সূত্রে খবর আসে, দেহরাদূনে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন ওই দম্পতি। এর পরে পুলিশের একটি দল গিয়ে শুক্রবার ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে। শনিবার সেখানকার আদালতে দু’জনকে পেশ করা হলে ট্রানজ়িট রিমান্ডে ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করার অনুমতি মেলে।

ঘটনার পরে বৃদ্ধার ছোট ছেলে পুলিশকে জানিয়েছিলেন, অফিস থেকে ফিরে তিনি দেখেন, বাড়ি অন্ধকার। বাইরে থেকে তালাবন্ধ। মায়ের সাড়া মিলছিল না। এর পরে তিনি প্রতিবেশী, আত্মীয় এবং পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ একতলার একটি জানলা খুলে দেখে, বিছানার উপরে কম্বল চাপা অবস্থায় রয়েছে বৃদ্ধার দেহ। তাঁর কান থেকে রক্ত চুঁইয়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তদন্তকারীদের একাংশ জানান, ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, শ্বাসরোধজনিত কারণেই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Murder Nimta

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy