Advertisement
E-Paper

বাবা-মাকে মেরে বার করার অভিযোগ, ধৃত ছেলে

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পৈতৃক সম্পত্তির ১৫ কাটা জমি নিজের নামে লিখে দেওয়ার জন্য বৃদ্ধ বাবা-মায়ের উপর জোর করছিল ছেলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৯ ০১:৩৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় বৃদ্ধ বাবা-মাকে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগে ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে, দক্ষিণ শহরতলির বিষ্ণুপুর থানার কৃপারামপুরে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পৈতৃক সম্পত্তির ১৫ কাটা জমি নিজের নামে লিখে দেওয়ার জন্য বৃদ্ধ বাবা-মায়ের উপর জোর করছিল ছেলে। কিন্তু ওই জমি ছেলের নামে লিখে দেননি তাঁরা। এ জন্য বাবা-মাকে মাস খানেক আগে ছেলে বাড়ি থেকে বার করে দেয় বলে অভিযোগ।

পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার মা বন্দনা মণ্ডল ছেলে সুব্রতের বিরুদ্ধে বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, মাসখানেক আগে স্বামী শিশির মণ্ডল এবং তাঁকে মারধর করে বার করে দিয়েছে ছেলে। তাই তাঁরা এখন বিবাহিত মেয়ের বাড়িতে রয়েছেন। তার পরেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে বিষ্ণুপুর থানা। শনিবার বন্দনাদেবী ও তাঁর স্বামীকে থানায় আসার জন্য বলা হয়। কয়েকটি ব্যাগে

সংসারের জিনিস গুছিয়ে নিয়ে শনিবার থানায় পৌঁছে যান বন্দনা ও শিশির। সেখান থেকে থানার অফিসারেরা গাড়িতে করে দু’জনকে কৃপারামপুরের বাড়িতে নিয়ে যান। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় ছেলে সুব্রতকে। তবে পুত্রবধূ ও নাতনিকে ওই বাড়িতে থাকার অনুমতি দিয়েছেন বৃদ্ধ দম্পতি।

দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে সংসার ছিল তাঁদের। বৃদ্ধা জানান, স্থানীয় একটি প্লাইউড কারখানায় কাজ করতেন তাঁর স্বামী। এক সময়ে ওই কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। তাই বাড়ির কাছেই একটি চায়ের দোকান খোলেন তিনি। কিন্তু দোকানটি চলত না। দেনার দায়ে সেটি বিক্রি করে দিতে হয়। পরে অন্য একটি চায়ের দোকানে কাজ শুরু করেন বৃদ্ধ। বন্দনাদেবীর কথায়, ‘‘সংসারের কাজের পাশাপাশি বেতের ঝুড়ি তৈরি করতাম আমি। সংসারের অভাব অনটন থাকা সত্ত্বেও তিন ছেলেমেয়েকে বড় করেছিলাম। এখন সেই ছেলেই গালাগালি করছে!’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy