প্রতীকী ছবি।
পরিত্যক্ত বাড়ি, ফাঁকা জমি বা জলাশয়ের মালিক সাফাইয়ের কাজ না করলে সেই কাজ করবে পুরসভা। এমন সিদ্ধান্ত হওয়ার পরে সোমবারই দক্ষিণ দমদমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে চারটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তালা ভেঙে ঢুকল পুরসভা। তার মধ্যে দু’টি বাড়ি থেকে মশার লার্ভা মিলেছে।
সম্প্রতি দক্ষিণ দমদমের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গিতে এক কিশোরের মৃত্যুর পরে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। রবিবার পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা জলি চৌধুরী এবং ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক সৌরভ বারিক দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেই সঙ্গে তাঁরা ২৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা পরিদর্শনও করেন। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, পুরসভার মাতৃসদন এবং দক্ষিণদাঁড়ির হাসপাতালে শয্যা-সংখ্যা বাড়ানো হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও সাফাইয়ের কাজে জোর দেওয়া হবে। সকালের শিফটে কর্মরত ১০ জন পুরকর্মীকে প্রতিটি ওয়ার্ডে অতিরিক্ত তিন ঘণ্টা সাফাইয়ের কাজে লাগানো হবে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে, ব্যক্তি-মালিকানাধীন ফাঁকা জমি, বাড়ি বা জলাশয় অপরিচ্ছন্ন হলেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছেন না মালিকপক্ষ, নোটিস পাঠালেও সাড়া মিলছে না। সে ক্ষেত্রে পুরসভাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।
এ দিন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কেয়া দাস জানান, চারটি বাড়িতে দীর্ঘদিন লোকজন থাকেন না, মালিকের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এ দিন সেই বাড়িগুলির মধ্যে দু’টি বাড়ি থেকে মশার লার্ভা মিলেছে। সেখানে প্রয়োজনীয় মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ করা হয়েছে।
পুরসভার খবর, ন’টি ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা দশের বেশি। সোমবার পর্যন্ত পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১১৪, অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৪৩। পুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৪ জন। চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, মশাবাহিত রোগ নিয়ে বৈঠকে কিছু পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ দিন থেকে সে সব কাজ শুরু হয়েছে। সচেতনতার প্রচারেও জোর বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy