শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে কেবল মহিলাদের জন্য আধুনিক শৌচাগার গড়ে তুলতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। যেখানে স্নান এবং কাপড় বদলের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা থাকবে। শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জন্য আলাদা ঘরও থাকবে।
বর্তমানে কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে ৩৮৩টি গণশৌচাগার রয়েছে। এই সমস্ত শৌচাগারের বেশির ভাগই ব্যবহারের অযোগ্য বলে ইতিমধ্যেই বস্তি বিভাগে অভিযোগ জমা পড়েছে। কোথাও দরজা ভাঙা, কোথাও কল, বেসিন বা কমোড ভাঙা। নিয়মিত পরিষ্কার না হওয়ায় নোংরা ও দুর্গন্ধে সেখানে যাওয়াই দায় হয়। কলকাতা পুর এলাকার এই ধরনের গণশৌচালয়গুলি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার পরিচালনাধীন।
পুরসভার বস্তি বিভাগ প্রতিটি ওয়ার্ডে মহিলাদের জন্য যে সব আধুনিক শৌচালয় তৈরি করবে, সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিতে চায় বেসরকারি সংস্থাকে। প্রশ্ন সেখানেই। শৌচাগারের দ্বায়িত্বাধীন বিভিন্ন সংস্থার বর্তমান ভূমিকা দেখেও ফের কেন একই পথে হাঁটছেন কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ? কর্তৃপক্ষের দাবি, শৌচালয়গুলি তৈরির পর সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণে পুরসভার নজর থাকবে। সেই সঙ্গে পুরনো শৌচালয়গুলির দেখাশোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে পুরসভার বস্তি বিভাগের তরফে আমূল সংস্কার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি।
মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার বলেন, ‘‘বহু মহিলা দূর থেকে কাজে আসেন। তাই কেবল মহিলাদের জন্য পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডেই গণশৌচাগার হবে। এ জন্য কাউন্সিলরদের চিঠি লিখে জমি চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।’’ ৩৬টি ওয়ার্ডে জমি খোঁজা শেষ হয়েছে। ওই জাতীয় আধুনিক শৌচাগার থেকে মহিলারা যাবতীয় সুবিধা পাবেন। থাকবে স্যানিটারি ন্যাপকিনের মেশিনও।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)