E-Paper

ছবিতে পাশাপাশি বুদ্ধদেব ও দিলীপ, গুঞ্জন যাদবপুরে

রাজ্যপাল দ্বারা অপসৃত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বসে রয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের পাশে। এমন ছবি প্রকাশ্যে আসায় আলোচনা শুরু হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অন্দরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:৩৫
(বাঁ দিক থেকে প্রথম) বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের সঙ্গে রাজ্যপাল দ্বারা অপসৃত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ (বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়)।

(বাঁ দিক থেকে প্রথম) বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের সঙ্গে রাজ্যপাল দ্বারা অপসৃত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ (বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়)। —নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যপাল দ্বারা অপসৃত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বসে রয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের পাশে। এমন ছবি প্রকাশ্যে আসায় আলোচনা শুরু হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অন্দরে।

গত বছর অগস্টে যখন রাজ্যপাল একক ভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক বুদ্ধদেবকে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে মনোনীত করেন, তখনই জানা গিয়েছিল, বুদ্ধদেব রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ঘনিষ্ঠ শিক্ষক সংগঠন ‘জাতীয়তাবাদী অধ‍্যাপক ও গবেষক সঙ্ঘ’-এর এই রাজ্যের সভাপতি। কিন্তু যখন ডিসেম্বর মাসে সমাবর্তনের আগের দিন রাজ্যপাল তাঁকে অন্তর্বর্তী উপাচার্যের পদ থেকে সরিয়ে দেন, তখন রাজ্যের তৃণমূল সরকার তাঁর পাশে দাঁড়ায়। তাঁকে সমাবর্তন করানো এবং থেকে যাওয়ারই নির্দেশ দেয় উচ্চশিক্ষা দফতর। তবে বুদ্ধদেবকে দিলীপের পাশে দেখার পরে এ বার ফের তাঁকে নিয়ে ক্যাম্পাসে আলোচনা শুরু হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে বিজেপির আর এক নেতা শমীক ভট্টাচার্যও উপস্থিত ছিলেন বলে খবর।

বুদ্ধদেব এ দিন বলেন, ‘‘আইনজীবীদের একটি দোলের অনুষ্ঠানে আমায় নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। সেখানে দিলীপ ঘোষ এসেছিলেন। তৃণমূল, সিপিএমের লোকেরা ডাকলে সেখানেও যাব। ক্যাম্পাসে তো সিপিএম-দের সঙ্গে দোল খেলেছি। কোনও বিতর্ক হয়নি তো! দিলীপ ঘোষ কি খারাপ মানুষ? মেশা যাবে না তাঁর সঙ্গে?’’ এর পরে তিনি বলেন, ‘‘ক্যাম্পাসে পার্থপ্রতিম রায়েরা চায়, কেউ থাকবে না। শুধু সিপিএম থাকবে।’’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় অবশ্য পাল্টা বলেন, ‘‘ওঁকে ছবিতে এক বিজেপি নেতার সঙ্গে দেখা যাচ্ছে, যিনি যাদবপুর
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে একদা আপত্তিকর কথা বলেছিলেন।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, উপাচার্যের কাজ না করে বুদ্ধদেব মাসের পর মাস ভাতা নেন। তাঁর আরও অভিযোগ, বুদ্ধদেবের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের এক তৃণমূল শিক্ষক-নেতা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং তৃণমূলের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার যুগ্ম সম্পাদক মনোজিৎ মণ্ডলও বিষয়টি নিয়ে সুর চড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘বুদ্ধদেব বিজেপির শিক্ষক সংগঠনের নেতা। অথচ সেই বিজেপির আচার্য ওঁকে অসম্মান করে সরিয়ে দিয়েছেন। সমাবর্তন আটকাতে চেয়েছেন।’’ তাঁর দাবি, জুটার এক অংশও তা-ই চেয়েছিল। রাজ্য সরকার হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর কথা ভেবে যথার্থই রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে রাজধর্ম পালন করেছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Dilip Ghosh Buddhadeb Sau Jadavpur University

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy