প্রতীকী ছবি।
করোনা-কালে ভিড় এড়াতে মণ্ডপ দর্শকশূন্য করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। যদিও ব্যারিকেডের বাইরে জনতার ভিড় দেখা গিয়েছে সপ্তমী থেকেই। তার মধ্যে কোনও কোনও মণ্ডপের সামনে স্টল বসেছে। সেখানে মানুষ ভিড় করে ঠান্ডা পানীয় খেয়েছেন, কোথাও স্টলে দাঁড়িয়ে বেলুন ফাটিয়েছেন। সেখানে দূরত্ব-বিধির ছিটেফোঁটাও মানা হয়নি। কোনও কোনও জায়গায় আবার স্টলই দেখা যায়নি!
পর্যালোচনা করতে গিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এই তফাত কেন? স্টল না করতে দেওয়ায় ভিড় জমতে পারেনি, সেই ইতিবাচক দিকটি মেনে নিয়েও অনেকের প্রশ্ন, প্রশাসনিক স্তর থেকে স্টল না করার নির্দেশ দেওয়া হয়ে থাকলে তা সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
যেমন একটি উদাহরণ গড়িয়াহাট থানা। ওই থানা এলাকায় বেশ কিছু বড় পুজো হয়। সেখানকার কোনও পুজো কমিটিকেই স্টল করতে দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিংহ সরকার বলেন, ‘‘আলাদা করে নিয়ম করা হয়নি। পুর এলাকায় স্টল করতে পুরসভার অনুমোদন লাগে। এ বারও তা-ই নিতে বলা হয়েছিল।’’
কিন্তু যদি পুর অনুমোদন নিলেই চলে, তা হলে স্টল দেওয়া যাবে না, পুলিশের তরফে এমন নির্দেশ উদ্যোক্তাদের কাছে যায় কী ভাবে? এ ব্যাপারে গড়িয়াহাট থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বলেন, ‘‘মন্তব্য করার অধিকারী নই। যা বলার, ঊর্ধ্বতন আধিকারিক বলবেন।’’ সূত্রের খবর, জনৈক ঊর্ধ্বতন অফিসারের ‘ইচ্ছানুসারেই’ ওই এলাকায় স্টল করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। দর্শনার্থীদের যাতায়াতের পথ বন্ধ করার চেষ্টা হয়েছিল বলেও উদ্যোক্তাদের একাংশের অভিযোগ। এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন, তার উত্তর কোনও পক্ষ থেকেই মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy