Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিধাননগর থেকে চুরি ল্যাপটপ পাচার হত ভুটানে

বিধাননগর কমিশনারেট এলাকা থেকে বিভিন্ন সময়ে চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উত্তরবঙ্গের পথ ধরে পাচার হয়ে যেত ভুটানে। তদন্তে নেমে সেই করিডরের হদিস পেল বাগুইআটি থানার পুলিশ।

নিজস্ব স‌ংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:৩০
Share: Save:

বিধাননগর কমিশনারেট এলাকা থেকে বিভিন্ন সময়ে চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উত্তরবঙ্গের পথ ধরে পাচার হয়ে যেত ভুটানে। তদন্তে নেমে সেই করিডরের হদিস পেল বাগুইআটি থানার পুলিশ।

বাগুইআটির সমরপল্লি-সহ কমিশনারেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে গত কয়েক মাসে চুরি গিয়েছে একের পর এক ল্যাপটপ। তদন্তে নেমে গত ১৯ নভেম্বর সৌমেন বর্মণ নামে এক যুবক ও তার স্ত্রী সঙ্গীতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জেরা করে জানা যায়, জয়নগরে শেখ শাকিল নামে এক জনকে চোরাই ল্যাপটপ বিক্রি করত সৌমেন। শাকিলের থেকে সেগুলি নিত শাহিদ মোল্লা ও শাহনওয়াজ মোল্লা নামে দুই ব্যক্তি। তাদের কাছ থেকে সেগুলি কিনত কাকদ্বীপের প্রসেনজিৎ সাউ। তাকে জেরা করে শিলিগুড়ির বাসিন্দা প্রসেনজিৎ সাহার খোঁজ পায় পুলিশ। বড় বড় কার্টনে ভরে সেগুলি শিলিগুড়ির আশ্রমপাড়ায় প্রসেনজিৎ সাহার দোকানে পাঠাত কাকদ্বীপের প্রসেনজিৎ। শিলিগুড়ি থেকে চুরির সামগ্রী পাচার হয়ে যেত ভুটানে।

প্রসেনজিৎ সাহার খোঁজে বৃহস্পতিবার বাগুইআটি থানার এসআই চন্দ্রনাথ বটব্যালের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল শিলিগুড়ি রওনা দেয়। শুক্রবার দুপুরে আশ্রমপাড়ার ওই দোকান থেকে স্থানীয় পুলিশের সাহায্যে অভিযুক্তকে ধরেন বাগুইআটি থানার তদন্তকারীরা। ধৃতের কাছ থেকে ১০টি চোরাই ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে। বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রের খবর, চুরি যাওয়া ৬০০টি ল্যাপটপের মধ্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০টি উদ্ধার হয়েছে। বাকিগুলির খোঁজ চলছে। ভুটানে এই চক্র কী ভাবে সক্রিয়, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

শনিবার দুই প্রসেনজিৎকে বারাসত আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Smuggling Laptop Bhutan Bidhannagar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE