Advertisement
E-Paper

ভর্তির আশায় টাকা দিয়ে প্রতারিত

কলেজে ভর্তি হওয়ার ফর্ম পূরণ করে ক্যান্টিনে বসে ছিলেন দুই ছাত্রী। আগন্তুকের মতো এক ‘দাদা’ এসে জানান, দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। তাঁকে টাকা দিলেই অনায়াসে ভর্তি হওয়া সম্ভব। ভর্তি হওয়ার লোভে কিছু টাকা দেন ওই দুই ছাত্রী। কিন্তু ভর্তি হননি কলেজে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:০৭

কলেজে ভর্তি হওয়ার ফর্ম পূরণ করে ক্যান্টিনে বসে ছিলেন দুই ছাত্রী। আগন্তুকের মতো এক ‘দাদা’ এসে জানান, দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। তাঁকে টাকা দিলেই অনায়াসে ভর্তি হওয়া সম্ভব। ভর্তি হওয়ার লোভে কিছু টাকা দেন ওই দুই ছাত্রী। কিন্তু ভর্তি হননি কলেজে। এ বার সেই সেই টাকা ফেরত পেতে গিয়ে কার্যত ঘাম ছুটছে তাঁদের। ঘটনাটি বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ জমা পড়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে।

এক ছাত্রীর অভিযোগ, ২০১৬ সালে স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের এক ছাত্র দেবব্রত রায় তাঁর এবং তাঁর এক সহপাঠীর কাছ থেকে এক লক্ষ দশ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন। সেই মতো আশি হাজার টাকা দিয়েও দেন তাঁরা। কিন্তু পরে কলকাতারই অন্য কলেজে সুযোগ পেলে তাঁরা বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে ভর্তি হননি। পরে সেই টাকা ফেরতের দাবি জানান ওই দুই ছাত্রী। কোনও ভাবেই সেই টাকা ফেরত না পেয়ে উপাচার্যের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।

এক অভিযোগকারিণী বলেন, ‘‘উপাচার্য থেকে থানা— সব জায়গাতেই নাম দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু তা-ও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’’ হোয়াটসঅ্যাপে এই বিষয়ে কথাও হয় দু’জনের। দেবব্রত রায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘অন্য কোনও নম্বর আমার নামে মোবাইলে সেভ করেও এটা করা যায়। পুরো বিষয়টি মিথ্যে।’’ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আশুতোষ ঘোষকে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

College Admission Students Cheated Ballygunge Science College
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy