‘আঙ্কল, প্লিজ স্টপ’ বলে সাত বছরের শিশুটি অটোর দিকে তাকিয়ে হাত তুলল। অটোচালক তার পরোয়া না করেই শিশুটির পায়ের সামনে জোরে ব্রেক কষলেন। আশপাশে ছিল টানা রিকশার জট। সেই সবের ফাঁক গলে কোনও রকমে শিশুটি রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের স্কুলে পৌঁছে গেল।
মঙ্গলবার সকালে দমদমের নাগেরবাজারে একটি স্কুলের কাছে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক স্কুলছাত্রীর। নাগেরবাজারের মতো ঘটনা আগেও বহু বার ঘটেছে এই শহরে। গত বছরের ৭ এপ্রিল তারাতলার কাছে বন্ধুদের সঙ্গে স্কুলে আসার সময়ে স্কুলের গেটের সামনেই ক্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক স্কুলছাত্রীর। ওই ছাত্রী স্কুলগাড়িতে চেপে আসছিল। ক্রেনটি ধাক্কা মারলে গাড়ির দরজা ভেঙে গিয়ে ওই ছাত্রী বাইরে পড়ে যায়। তখনই ক্রেনটি তাকে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিশুটির।
এ শহরের গুটিকয়েক নামী স্কুল ছাড়া অধিকাংশ স্কুলের সামনেই রাস্তা পার হতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় অভিভাবকদের। অভিযোগ, ট্র্যাফিক পুলিশ না থাকায় স্কুল শুরু ও ছুটির সময়ে ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পেরোতে হয় পড়ুয়াদের। গার্ডেনরিচের বাসিন্দা আমিনা বেগম প্রতিদিন তাঁর শিশুপুত্রকে ওই এলাকারই একটি স্কুলে পৌঁছে দিতে যান। আবার ছুটির সময়ে নিয়ে আসেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘গার্ডেনরিচ রোডে পুলিশ না থাকায় হাত দেখালেও গাড়ি থামে না। ঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছনোর তাড়া থাকায় প্রাণ বাজি রেখেই রাস্তা পেরোতে হয়। স্কুলের সামনে পুলিশের থাকাটা